বৈশাখে চাম্বি লেকে পর্যটকের ভিড়

চৈত্রের বিদায় বৈশাখের শুরুতে কাঠফাটা রোদে কার না ভালো লাগে একটু জলরাসি আর সবুজের মাঝে ঘুরে বেড়াতে। সেই অভাবকেই মিটিয়ে দিবে লোহাগাড়ার ‘চাম্বি লেক ’

লোহাগাড়া উপজেলাধীন চুনতি ইউনিয়নস্থ পানত্রিশা গ্রামে পাহাড়ের মাঝে আছে অসাধারণ প্রাকৃতিক রূপে অপূর্ব সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্র ‘চাম্বী” লেক। যার কথা হয়ত জানি না আমরা অনেকেই।

পাহাড়ী এলাকার মাঝেই পড়েছে লেকটি। তাই যেমন পরিচ্ছন্ন তেমনি সুন্দর পরিবেশ, লোহাগাড়া বটতলী শহর থেকে এই লেকের দূরত্ব গাড়ী দিয়ে মাত্র ৪০ মিনিটের পথ।

চারিদিকে পাহাড়ের নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য, উদার বিশাল আকাশ মনকে এমনিতেই ভরে তোলে নির্মল আনন্দে। এখানে যারা একবার এসেছেন প্রকৃতি তাদের বারবার আসতে বাধ্য করবে।

একই সাথে পাহাড় এবং পাহাড়ের গায়ে সূর্যাস্ত আপনার মনকে ভরিয়ে দিতে যতেষ্ট। লেকের পানির স্বচ্ছতা নিঃসন্দেহে মুগ্ধ করবে আপনাকে।

লেকের মাঝে রয়েছে একটি সুন্দর পাহাড়ি টিলা। পাহাড়ি টিলা মধ্যে আছে পর্যটকদের জন্য একটি দর্শনার্থী বিশ্রামাগার।

পাহাড়ি টিলায় মাঝ থেকে চারদিকে তাকালে আপনি ভুলে যাবেন যান্ত্রিক শহরের যত ক্লান্তি, শ্রান্তি। আরো রয়েছে স্পিড- বোড ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা।

আপনি চাইলে স্পিড- বোডে ঘুরে বেড়াতে পারবেন লেকে। মাছ ধরতে পারবেন। বন্ধুরা মিলে বেড়াতে যেতে পারেন আবার পারিবারিক ভ্রমণের জন্যেও চমৎকার জায়গাটি।

একা একা চুপচাপ নিজের সাথে সময় কাটাতে চাইলেও ‘চাম্বী লেক মন্দ নয়।

কি কি আছে চাম্বি লেকে?

একটা রাবার বোট, একটা স্পিড বোট, দুইটা প্যাডেল বোট, পাহাড়ের টিলায় তিনটা গোল ঘর যা থেকে পুরো পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য এক পলকে উপভোগ করা যায়।

ছোট ছোট পাহাড়ী দ্বীপ গুলোতে ছবি তোলার সুন্দর ব্যবস্থা আছে, রাবার ড্যামের উপরের ব্রিজেও ভালো ছবি তোলার সুযোগ আছে।

কিভাবে যাবেন?

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি শাহ সাহেব গেট আছে সেখানে নেমে পড়তে হবে। সেখান থেকে ইসহাক মিয়া সড়ক ধরে সাত-আট কিলো আগালে এবং তারপর কাউকে জিজ্ঞেস করলে আপনি পেয়ে যাবেন চাম্বি লেক।

এছাড়ও লোহাগাড়া বটতলী ষ্টেশন থেকে ডিসি সড়ক দিয়েও যেতে পারবেন।