চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার জামিনের মেয়াদ বাড়লো

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপরসন খালেদা জিয়া। সোমবার রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।

আজ এ মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা সংক্রান্ত আদেশ দেওয়ার কথা ছিল। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের জামিন বাড়ানোর আবেদনের পর বিচারক এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে ১৩ ও ১৪ মার্চ এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন আদালত।

বিচারক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, অন্য মামলায় (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি) খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন। এর আগে (১৩ মার্চ) জামিনে বের হলে আদালতে হাজির হতে আর আদেশ দিতে হবে না। আর জামিন না পেলে ১৩ তারিখে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার জন্য একটি আবেদন করে বলেন, এ মামলায় তাকে (খালেদা জিয়া) ছাড়া যুক্তিকর্ত উপস্থাপন করা যাবে না। তাই তাকে আদলতে উপস্থিত করার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেওয়া হোক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।

এ মামলায় অন্য আসামি খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে খালেদা জিয়া সেখানেই বন্দী রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।