২০১৮ তে ছদাহায় প্রথম হয়েছে আদর্শ দাখিল মহিলা মাদ্রাসা

দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায়  ও এসএসসি সমমানের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে গেল কয়েকদিন আগে । ছদাহায় এবার প্রথম হয়েছে ছদাহা আদর্শ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ পাসসহ জিপিএ -৫ পেয়েছে একজন শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর থেকে ছদাহার নারী শিক্ষা বিস্তারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে।

সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ কৃতিত্ব ও অন্যান্য বিষয়ে লিখেছেন  অতিথি লেখক- ওমর ফারুক।

ছদাহার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী শিক্ষা বিস্তার ও প্রসারে ১৯৯৫ সালে আলহাজ্ব এসএম নুরুন্নবী সাহেবের সহায়তায় আলহাজ্ব বদরুল আমিন ও অন্যান্য শিক্ষানুরাগীদের জায়গায় ছদাহা আদর্শ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় । প্রতিষ্ঠার পর থেকে পড়াশোনার গুণগত মান বজায় রেখে ছদাহার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীদের মাঝে ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। উক্ত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব এসএম নুরুন্নবীর উদ্যোগ ও তৎকালীন এমপির সহযোগিতায় ২০০৪ সালের মে মাসে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয়। এরপর আর পিছনে থাকাতে হয়নি। প্রতি বছরই পাবলিক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য ফলাফল করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।

বর্তমানে দ্বিতল একটি ভবনে প্রায় পাঁচশ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। আর একটি ভবন নির্মাণাধীন। ২ জন মহিলা শিক্ষিকাসহ শিক্ষক রয়েছেন ১১ জন। প্রতিবছর মাদ্রাসার উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তর পার হয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য নামিদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমান প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজ, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত।

চলতি বছর দাখিল পরীক্ষায় ২৬ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শতভাগ পাস সহ জিপিএ পাঁচ পায় ১ জন। অন্যদের রেজাল্ট ছিলো চোখে পড়ার মতো।

এই বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মীর মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, আমরা ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করি। নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে নিবিড় পরিচর্যা ও পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যাচ করে কোচিং করানো সর্বোপরি শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় হলো ভালো ফলাফলের মূল কারণ।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ৩ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। মাদ্রাসার একটি ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে। সেখানে আইসিটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা সহ কিছু কাজ করা হবে। শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ ও কাজগুলো দৃশ্যমান হলে আমরা ছদাহার মানুষকে আরও ভালো কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো।