হৃদরোগ থেকে বাঁচার সহজ উপায়!

প্রতি বছর সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করেন। শরীরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃদযন্ত্র। বুকের মাঝে হৃদয়ের ধুক ধুক বলে দেয় আমরা বেঁচে আছি। হার্ট যদি কোনো কারণে অসুস্থ হয় তবে তা নানা সংকেত দিয়ে আমাদের জানিয়ে দেয়। অনেক সময় আমরা সাধারণ কোনও রোগ ভেবে তা উপেক্ষা করি।

হৃদরোগের প্রধান কারণ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকা। পরিকল্পিত খাদ্যগ্রহণ নীতি মেনে চললে কোলেস্টেরল আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কোন খাবার বাদ দেবেন আর কি খাবেন তা নিম্নে দেয়া হলো:
লবণ : দৈনিক লবণ ২৩শ মিলিগ্রামের কম খেতে হবে। কারও যদি উচ্চরক্তচাপ থাকে, তাহলে তাকে দিনে ১৫শ মিলিগ্রাম পরিমাণ বা এর চেয়ে কম লবণ গ্রহণ করা উচিত।

চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দেয়া : খাদ্যে সম্পৃক্ত চর্বি মোট ক্যালরির সাত শতাংশের চেয়েও কম রাখতে হবে। দিনে ১৫-২০ গ্রামেরও কম সম্পৃক্ত চর্বি গ্রহণ করা উচিত। ট্যান্সফ্যাট থাকা উচিত এক শতাংশেরও কম।

চর্বি ও ট্যান্সফ্যাট হল মন্দ চর্বি, চর্বিযুক্ত গোশত, চর্বিবহুল দুগ্ধজাত খাদ্য (ঘি, মাখন, দুধ), পাম কার্নেলতেল, নারকেল তেল আমাদের খাদ্যে অনেক কমে গেলেও এখন ভাজা খাবার, ফাস্টফুড ও ক্র্যাকার্স, ডোনাট কেক, পেস্ট্রি, মিঠাইয়ের রস খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

খাদ্যে কম কোলেস্টেরল : খাদ্যে দিনে ৩০০ মিলিগ্রামের চেয়ে কম কোলেস্টেরল যেন থাকে। ডিমের কুসুম, চিংড়ি, গলদা চিংড়ি, মগজ, কলিজা এসব পরিহার করতে হবে। দিনে একটি ডিমের কুসুমের বেশি নয়।

দ্রবণীয় আঁশ বেশি খাবেন : মটরশুঁটি, শিমের বিচি, বিনস ওটমিল (জইচূর্ণ), ফল, শাকসবজি খাবেন।

আঁশযুক্ত খাদ্য বেশি খাবেন : সবুজ শাক-সবজি, সালাদ, ছোলা, বুট, টকফল, পেয়ারা, আমলকী, কামরাঙ্গা, আমড়া, লেবু ও বরই খোসাসহ খাবেন।

এছাড়া প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে যে খাবার বাদ দিতে হবে : খাসির মাংস, মাংসের চর্বি, গরুর মাংস, মগজ, কলিজা, গলদা চিংড়ি, মাছের ডিম, ডিমের কুসুম (ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যাবে), হাঁস ও মুরগির চামড়া, হাড়ের মজ্জা, ঘি, মাখন, ডালডা, নারকেল, মার্জারিন।