হালিশহরের জন্ডিস পানি থেকে: স্বাস্থ্য বিভাগ

পানির কারণেই হালিশহরে জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে বলে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।

তবে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির সমস্যা থেকে হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট জবাব মেলেনি।

গত ১০ দিনে হালিশহর এলাকায় জন্ডিসে তিনজন মারা যাওয়ার খবর প্রকাশের পর বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডাকেন সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, “হালিশহরে জন্ডিস পানিবাহিত কারণেই হয়েছে। খোলা খাবার, জুস থেকে হতে পারে।”

ওই এলাকায় জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে বলে সিভিল সার্জন জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত হালিশহর এলাকায় হেপাটাইটিস-ই ভাইরাসে ১৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

সিভিল সার্জন বলেন, হেপাটাইটিস ই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে হালিশহরে। দুই মাস আগে সেখানে ক্যাম্প করা হয়। পাশাপাশি পানি বিশুদ্ধকরণ বড়িও দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী ছাড়াও ঢাকা থেকে আসা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

গত মে মাসে বন্দর নগরীর হালিশহর এলাকায় ডায়রিয়া ও জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তখনও আইইডিসিআরের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও এসে পানি এবং আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন।

সিভিল সার্জন বলেন, “কিন্তু পানিতে কী সমস্যা ছিল, সে বিষয়ে আমাদের জানানো হয়নি। পানিতে কী সমস্যা ছিল, তা ওয়াসা বলতে পারবে।”

সেসময়কার পরীক্ষায় পানিতে সমস্যা পাওয়া গিয়েছিল কি না- জানতে চাইলে আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ‘সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া বলতে পারবেন না’ বলে সাংবাদিকদের জানান।

গত মে মাসে ডায়রিয়া ও জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর চট্টগ্রাম ওয়াসা সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছিল, তাদের পানিতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ওইসব এলাকার পানির রিজার্ভ ট্যাংকে জীবাণু থাকতে পারে।

তবে আইইডিসিআরের গবেষণা দলের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের সংগৃহীত ওয়াসার পানির একটি নমুনায় জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল।”

নতুন করে তিনজন মারা যাওয়ার পর ঢাকা থেকে বুধবার আইইডিসিআরের একটি দল চট্টগ্রাম এসেছে। দলটি হালিশহর ও এর আশেপাশের এলাকায় জণ্ডিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্ত ও ওইসব এলাকার পানির নমুনা সংগ্রহ করবে।