বোয়ালখালী উপজেলার একমাত্র শ্রীপুর-খরণদ্বীপ সংসদীয় আসন চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়ার সাথে ২০০৮ থেকে সংযুক্ত। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ এলাকার জনগণ তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রীর বিশেষ সহকারী ড. হাছান মাহমুদকে নৌকা প্রতীকে পেয়ে ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীর চেয়ে প্রায় ৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রাখেন। এরপর কথা রেখেছেন তিনি। ২০১৪ সালে ফের নির্বাচিত হয়েছেন। দশ বছরে পাল্টে দিয়েছেন শ্রীপুর-খরণদ্বীপের চিরাচরিত চেহারা। উন্নয়ন হয়েছে প্রায় সোয়া শ’ কোটি টাকার। শিক্ষা স্বাস্থ্য অবকাঠামো দারিদ্র বিমোচন ও গৃহ নির্মাণে তিনি সরকারি ও নিজ তহবিল থেকে সহযোগিতা করেছেন নিরবচ্ছিন্নভাবে। এরই ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি প্রার্থীর চেয়ে ১৩ হাজারের বেশি ভোট পান। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকাবাসীর শুভকামনা ছিল তাদের প্রিয় মানুষটি যেন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন। গত রবিবার ড. হাছান মাহমুদ তথ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন এমন খবরে আনন্দের বন্যা বয়ে যায় ইউনিয়ন আ.লীগ, সহযোগী সংগঠন ও সাধারণ জনগণের মাঝে। তারা এজন্য মসজিদ-মন্দিরে ধর্মীয়ভাবে শোকরানা প্রকাশ করেন। ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীসহ তাঁর তথ্যমন্ত্রী হিসেবে ও মন্ত্রী পরিষদের শপথ অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় ছিল প্রতিটি চায়ের দোকানে, টেলিভিশনের সামনে।
ড. হাছান মাহমুদ মন্ত্রী হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন জানান, যোগ্য লোকের কাছে জননেত্রী মন্ত্রিত্ব দিয়েছেন। তিনি অতীতে মন্ত্রী ছিলেন আবার মাঝখানে ছিলেন না, তারপরও উন্নয়ন বন্ধ হয়নি। এখন আবার মন্ত্রী হয়েছেন, এ গ্রামকে শহর করা তাঁর জন্য খুব কষ্টকর হবে না। তিনি বলেন, আমরা এলাকাবাসী তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ, তাঁর প্রতিদান আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটে দিয়েছি। মন্ত্রী হওয়াতে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
স্থানীয় আ.লীগ নেতা রেজাউল করিম রাজা জানান, হাছান ভাই আমাদের এলাকার এমপি এটা ভাবতেই ভাল লাগে। এরকম একজন জাতীয় নেতাকে পেয়ে আমরা গর্বিত। তিনি মন্ত্রী হয়েছেন, এটা শ্রীপুর-খরণদ্বীপবাসীর জন্য গৌরবের।
জানতে চাইলে স্থানীয় যুব প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম, আলতাপ হোসেন ও মোজাম্মেল হক বকুল একই ধরণের বক্তব্য দিয়ে বলেন, উন্নয়নের দিক থেকে আমরা বোয়ালখালীর যেকোনো অঞ্চল থেকে গত একদশকে এগিয়ে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম বলেন, ২০১১ থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে আমি তাঁর নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি। এত উন্নয়ন অগ্রগতি ইউনিয়নের, সব কৃতিত্ব তাঁকে ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দিতে হবে। তিনি ফের মন্ত্রী হলেন, একারণে শ্রীপুর-খরণদ্বীপবাসী মহাখুশি। একটি আদর্শ ইউনিয়ন গড়ে উঠবে তাঁর নেতৃত্বে, যা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।