আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়কপথ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর ছাড়পত্র পেয়েছেন ।
সিঙ্গাপুরে তার সঙ্গে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী জানিয়েছেন, শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বর্তমানে সুস্থ। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আরও কিছুদিন তিনি সিঙ্গাপুরে থাকবেন। গত ৪ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে চিকিৎসার জন্য মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতাল ছাড়লেও এখনই দেশে ফিরছেন না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আরও কিছুদিন তাকে সিঙ্গাপুরে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের টিপু।
তিনি বলেন, তিনি (কাদের) বর্তমানে সুস্থ। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কাছেই একটি ভাড়া বাসায় উঠেছেন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আপাতত সেখান থেকেই তার ফলোআপ চিকিৎসা হবে।
শুক্রবার হাসপাতাল ছাড়ার আগে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. ফিলিপ কোহের সঙ্গে ওবায়দুল কাদের শুক্রবার হাসপাতাল ছাড়ার আগে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. ফিলিপ কোহের সঙ্গে ওবায়দুল কাদের ৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবসট্রাকটিভপালমোনারি ডিজিজ) ভুগছেন।
গত ২ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে কাদেরের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।
অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেই রাতেই একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু করেন মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
কয়েকদিন চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হলে গত ২০ মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. শিভাথাসান কুমারস্বামীর নেতৃত্বে কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। ছয় দিন পর তাকে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করা হয় কেবিনে।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদেরও সিঙ্গাপুরে রয়েছেন।