পাহাড় আর কাপ্তাই জলরাশি বেষ্টিত সুবলং হতে পারে বাণিজ্যিক পর্যটন কেন্দ্র। রাঙামাটি জেলা সদর হতে সুবলং পর্যটন স্পটে নৌকা বা বোট নিয়ে যেতে হয়। জেলা সদর থেকে সুবলং এর দূরত্ব ১৮-২০ কিলোমিটার। বর্ষা মৌসুমে দর্শনীয় স্থান হিসেবে সুবলং ঝর্নায় পর্যটকদের প্রচুর ভিড় থাকে। মার্চের শেষের দিকে এসে পর্যায়ক্রমে পর্যটকদের ভিড় কমতে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই মৌসমে সুবলং ঝর্নার পাহাড়ের উপরে পানি আটকে বা পানি ধরে রেখে পাহাড়িরা চাষাবাদ করার কারণে ঝর্না দিয়ে এই মৌসুমে পানি বন্ধ হয়ে যায়। তাই পর্যটকেরা সুবলং ঝর্নায় গিয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে না পেয়ে মন খারাপ করে চলে আসেন। স্থানীয়রা আরো জানান, ঝর্নার উপরে যদি পানি বন্ধ করা না হতো তাহলে বারো মাসই সুবলং ঝর্নায় পানি পাওয়া যেত।
স্থানীয়রা বলেন, সুবলংয়ে একপাশে সৌন্দর্যে লীলাভূমি ও নৈসর্গিক নন্দিত সবুজ পাহাড় অন্যদিকে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য্য ও রূপময় জলরাশি। পাহাড় আর লেকের মিলনমেলায় পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়। সুবলং পাহাড় ঘেঁষে পড়ে উঠতে পারে অসংখ্য দর্শনীয় পর্যটন স্পট। এসব পর্যটন স্পট ব্যক্তি মালিকানায়ও গড়ে তোলা যায়। সরকারি-বেসরকারি ভাবে পর্যটন স্পট গড়ে তোলা হলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশ গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন অনেকে।
স্থানীয়রা বলছেন, সুবলংয়ে পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ, এডিবি ও ইউএনডিপি কর্তৃক সহায়তায় ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে ছোট ছোট আকারে এসব গড়ে তোলা হলে পাহাড়ে পাল্টে যাবে অর্থনৈতিক চাকা।
সম্প্রতি রাঙামাটি পর্যটন হলি ডে কমপ্লেক্সে মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড নেতৃবৃন্দ বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় সমন্বিতভাবে পাহাড়ে বসবাসরত লোকজন নিয়ে সবার সহযোগিতায় যদি জরিপ করে পর্যটন স্পট নির্ণয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা হাতে নিয়ে ব্যাপক হারে পর্যটন স্পট গড়ে তোলা হয় তাহলে পাহাড় হবে দেশি-বিদেশিদের ভ্রমণের স্থান। সাথে সাথে পাল্টে যাবে পাহাড়ের দৃশ্য। ভাগ্য খুলে যাবে অনেকের।