নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তে অবস্থানরত চার হাজার রোহিঙ্গাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মংডু আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাঈন টুও।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রাকিবুল্লাহ। এর আগে, কক্সবাজারে বিজিবি ও বিজিপি আঞ্চলিক কমান্ডার পর্যায়ে সৌজন্যমূলক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠক শেষেই ব্রিফিং করেন বিজিবির আঞ্চলিক কমান্ডার।
ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রাকিবুল্লাহ বলেন, ‘বিজিপি অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সন্ত্রাসী বাহিনীর অবস্থান রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে তারা বিজিবি’র সহায়তা প্রত্যাশা করছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’ বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসীর বীজ বপন হতে দেওয়া হবে না বলেও বৈঠকে বিজিবি’র থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিজিবি কমান্ডার আরো বলেন, বৈঠকে মিয়ানমার সীমান্তে থাকা ইয়াবা কারখানার বিষয়েও কথা হয়। মাঈন টুও জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এবং তারা এর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
পতাকা বৈঠকে যৌথ টহল জোরদার, উন্নত যোগাযোগ, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান এস এম রাকিবুল্লাহ।
এর আগে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজারে বিজিবি’র আঞ্চলিক সদর দফতরে বিজিবি ও বিজিপি’র মধ্যে পতাকাবৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রাকিবুল্লাহ, মিয়ানমারের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাঈন টুও।
বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই বাহিনীর মধ্যে তথ্য বিনিময়, সীমান্তে নিয়মিত যৌথ টহল, ইয়াবা প্রতিরোধ, সীমান্ত পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়।