সিআইপি হলেন ওমান চট্টগ্রাম সমিতির ৬ সদস্য

ব্যবসা-বাণিজ্যে বিশেষ অবদানের জন্য প্রবাসী কোটায় সিআইপি (কমার্শিয়াল ইম্পর্টেন্ট পার্সন) মর্যাদা পেয়েছেন প্রবাসীদের সংগঠন ‘চট্টগ্রাম সমিতি ওমান’ এর ৬ সদস্য।

তারা হলেন- মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরী, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক চৌধুরী, মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, মোহাম্মদ সামসুল আজিম আনসার, মোহাম্মদ ইদ্রিস ও এ এইচ বদর উদ্দিন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৬ সালের জন্য ৩৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি নির্বাচিত করেছে। এর মধ্যে ওমানপ্রবাসী ৭ বাংলাদেশির ৬ জনই চট্টগ্রাম জেলার।

‘চট্টগ্রাম সমিতি ওমান’ এর সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরী ‘বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী’ ক্যাটাগরিতে টানা তৃতীয়বারের মতো সিআইপি মর্যাদা পেয়েছেন। এর আগে তিনি ২০১৪ ও ২০১৫ সালে একই ক্যাটাগরিতে এ মর্যাদার অধিকারী পেয়েছিলেন।

মোহাম্মদ ইয়াসিন চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার দক্ষিণ সর্তার মোহাম্মদ মুছা চৌধুরীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

একই ক্যাটাগরিতে সমিতির উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক চৌধুরী দ্বিতীয়বারের মতো সিআইপি হয়েছেন।

মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আনোয়ারা উপজেলোর টেকোটা গ্রামের আবদুর রহমান চৌধুরীর ছেলে। এর আগে ২০১৫ সালে তিনি প্রথম সিআইপি হন। তিনি আবাসন ও নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

অন্যদিকে ‘বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক’ ক্যাটাগরিতে মিরেরসরাই উপজেলার আজিজুল হক চৌধুরীর ছেলে এ এইচ বদর উদ্দিন সিআইপি মর্যাদা পেয়েছেন। তিনি ওমানে বাংলাদেশ থেকে খাদ্যশস্য আমাদানি করেন।

নির্বাচিত সিআইপিরা এক বছর পর্যন্ত বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার, সচিবালয়ের প্রবেশপত্র, সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্তসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

এই অর্জনের জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা আর নির্বাচিত সিআইপিদের অভিনন্দন জানিয়েছে ‘চট্টগ্রাম সমিতি ওমান’।

দেশে ও প্রবাসে চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিতে তারা সক্রিয় হবেন এবং অবদান রাখবেন বলে সমিতির সদস্যের প্রত্যাশা।