নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের দেয়া রানের পাহাড় টপকে যায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারের দুই বল বাকি থাকতেই তুলে নেয় ২১৫ রান। অসাধারণ ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস চমৎকার শুরু করেন। ৭৪ রানের জুটি গড়ে আউট হবার সময় মাত্র ১৯ বলে ৪৩ রান করেন লিটন।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের শুরু থেকেই শাসন করতে থাকা তামিম আউট হন দলীয় ১০০ রানে। ২৯ বলে ৪৭ রান করে ফিরে যান এই ওপেনার।
দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম ৫১ রানের জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ২৪ রান করে সৌম্য আউট হলেও রানার চাকা সচল রাখেন মুশি। তুলে নেন টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি।
শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ১১ বলে ২০ রান করে ফিরে যান। তার পর সাব্বির রহমান আউট হলেও লঙ্কান বোলারদের পাত্তাই দেননি মুশফিক।
দলকে জয় এনে দেয়া পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৫ বলে ৭২ রান করে। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান এই তারকা ব্যাটসম্যান।
লঙ্কানদের হয়ে নুয়ান প্রদীপ দুটি, দুশমান্থা চামীরা ও থিসারা পেরারা নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং ঝড় শুরু করেন লঙ্কান দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতে ৪.২ ওভারেই ৫৬ রান তোলেন তারা। তবে বাধা হয়ে দাঁড়ান পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। দানুষ্কা গুনাথিলাকাকে বোল্ড করে মোটামুটি স্বস্তি এনে দেন দলে।
কিন্তু সেই স্বস্তিতে ফের দীর্ঘশ্বাসে পরিণত করেন মেন্ডিস ও পেরেরা। দুজন মিলে দলীয় সেঞ্চুরি পার করেন। আর সে মুহূর্তে বল হাতে আসেন পার্টটাইম বোলার রিয়াদ-সৌম্য। এসেই ম্যাজিক দেখান রিয়াদ। তুলে নেন মেন্ডিসের উইকেট। যদিও ততক্ষণে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন তিনি।
শেষের দিকে উইকেট পতনের মাঝেও ঠিকই ব্যাটিং ঝড় চালিয়ে যান পেরেরা-থারাঙ্গা। মূলত টপঅর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের থারাঙ্গার কল্যাণে বড় সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা।
ম্যাচটিতে বাংলাদেশের মুস্তাফিজ তিনটি, মাহমুদউল্লাহ দুটি এবং তাসকিন একটি উইকেট লাভ করেন।