২৯ সেপ্টেম্বর ঢেমশা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষক আবুল ফজলের শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।
প্রধান অতিথির বক্তেব্যে ড. অনুপম সেন বলেন আমরা যে সব শিক্ষকদের কাছ থেকে শিখেছি তাদেরকে মর্যাদার সাথে অন্তরে রেখেছি। এটা আমৃত্যু থাকবে। শিক্ষকরা কখনো মৃত্যুবরণ করেন না। তারা ছাত্রদের মাঝে বেঁচে থাকেন। আবুল ফজলের মতো নিবেদিত শিক্ষকরাই সমাজকে আলোকিত করতে পারেন। ঢেমশা স্কুলে ৪৩ বছরের শিক্ষাজীবনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত শোকসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি, প্রাবন্ধিক-সাংবাদিক আবুল মোমেন,
অধ্যাপক আবুল মোমেন বলেন, জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে সমাজে শিক্ষকরা পরিচিত হন। জাতীয় বড় বড় দায়িত্ব পালনেও শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। জ্ঞানের কারিগর, মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন না হলে সমাজের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে। সমাজ বিকাশের জন্য শিক্ষকদের ভূমিকাকে সরকারিভাবে, সামাজিকভাবে মূল্যায়িত করতে হবে। তিনি বলেন, সবাই শিক্ষক নন, কেউ কেউ শিক্ষক। যিনি অকাতরে ধর্ম-বর্ণ নির্বিচারে জ্ঞান বিতরণ করেন তিনিই প্রকৃত শিক্ষক।
শোকসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও রূপালী ব্যাংকের পরিচালক আবু সুফিয়ান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের আহ্বায়ক সুভাষ চন্দ্র দাশ। সূচনা বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক দয়াল হরি মজুমদার। শ্রদ্ধাঞ্জলি পাঠ করেন পরিষদের সদস্য সচিব মোর্শেদ আলম চৌধুরী। শিক্ষক সুকান্ত ধর ও নজরুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আ. লীগ নতো মাস্টার ফরিদুল আলম, সহকারী প্রধান শিক্ষক অমল কান্তি বড়–য়া, রেক্টর শিক্ষক শশী ভূষণ বড়–য়া, সাবেক শিক্ষক অমরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, আ. লীগ নেতা কামাল উদ্দীন, অরুণ কান্তি মল্লিক, উত্তম চক্রবর্তী, নারায়ণ কান্তি দাশ, মো. ইয়াকুব মিয়া মাষ্টার, সাংবাদিক মিহির কর, শ্যামল দাশ প্রমুখ