সাতকানিয়ায় মুলার বাম্পার ফলন

চন্দনাইশ সাতকানিয়ার চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে গত দু’বছর ধরে মুলা চাষ করে লোকসানে পড়লেও এবার তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। গত দুই বছর টানা বন্যা আর অকাল বর্ষণের কারণে মুলাচাষে বিনিয়োগ করা পুঁজিও তুলতে পারেনি কৃষকরা। কিন্তু চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তাদের আর লোকসান গুনতে হয়নি।
স্থানীয় চাষিদের সাথে কথা বললে তার জানায় গত দু’বছর লোকসানে পড়তে হলেও এবার কোনো রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেওয়ায় এ অঞ্চলে মুলার ফলন যেমন ভালো হয়েছে তেমনি দামও পাওয়া যাচ্ছে বেশি। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই বেশি দামে বিক্রির আশায় এ অঞ্চলে আগাম মুলার চাষ করেন কৃষকেরা। এ বছরের শুরু থেকে বর্ষণ নিয়মিত এবং শেষ সময়ে এসে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আগাম মুলার চাষ করা সম্ভব হয়েছে এবং ফলনও হয়েছে। সে কারণেই গত কয়েক বছরের চাইতে একটু আগেই এখানকার উৎপাদিত মুলা বাজারে চলে এসেছে। এতে করে মুলার দাম ভালো পাওয়ায় খুশি বলে জনান চাষিরা। সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর কালিয়াইশ গ্রামের মুলাচাষি নুরুল ইসলাম নুরু জানান, গত দু’বছর বন্যা, অকাল বর্ষণ ও মৌসুম শেষেও বর্ষণ অব্যাহত থাকার কারণে মুলাসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজির চাষ করে তার প্রচুর টাকা লোকসান হয়েছে। তবে চলতি বছর অন্যান্য সময়ের অনেক আগেই মুলার চাষ করা সম্ভব হয়েছে এবং ফলনও ভালো হয়েছে। নুরু জানান, এ বছর তিনি আড়াই একর জমিতে মুলা চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনলাখ টাকা। বর্তমানে বাজারে মুলার যে দাম পাওয়া যাচ্ছে তাতে তার ক্ষেতে উৎপাদিত মুলা বিক্রি করে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। নুরুর মত একই কথা বললেন, স্থানীয় মৌসুমী সবজি চাষি নুরুল হক, জাফর আহমদ, মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, মীর আহমদ এবং রাজা মিয়াসহ আরো অনেকে।
এছাড়া চন্দনাইশ পূর্ব দোহাজারী এলাকার চাষি আবদুস ছবুর, ফোরক আহমদ ও আবদুল মজিদ জানান, এখন মুলার দাম খুব ভালো। বর্তমান বাজারে প্রতিমন মুলা ১২শ’ টাকা থেকে ১৪শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরকম দাম আরো ১৫ দিন পাওয়া গেলে গত কয়েক বছরের ক্ষতিও পুষিয়ে উঠবে বলে জানান তারা।