সাতকানিয়ায় বেপরোয়া ভয়ঙ্কর কিশোর অপরাধী

চার শিশু কিশোর রায়হান, সাকিব,রায়হান ও মোহাম্মদ হোসেন। সবার বয়স ১২-১৭ বছরের মধ্যে। সাধারনত এ বয়সের শিশু কিশোরদের স্কুল, মাদ্রাসায় থাকার কথা থাকলেও রায়হান, সাকিব, রায়হান ও মোহাম্মদ হোসেনরা সংঘবদ্ধ হয়ে নেমেছে ছিনতাইয়ের কাজে।

সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের চৌমহুনী (নাপিতের চর) এলাকায় পথচারীকে ছুরি ধরে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বেরিয়ে আসে এ শিশু কিশোরদের নাম। স্থানীয় লোকজন ঘটনার পরের দিন রাতে স্থানীয় লোকজন সাকিব (১২) আটক করে পুলিশের হাতে সোর্পদ করে। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে সাকিবের দেওয়া তথ্যানুযায়ী পুলিশ অভিযান চালিয়ে এর মধ্যে রায়হান (১৬) ও মো. হোসেনকে (১৭) আটক করে।

থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, দক্ষিণ ঢেমশা হাজারিখীলের সৈয়দ আহমদের পুত্র আব্দুল হামিদ পেশায় রাজমিস্ত্রী। তিনি প্রতিদিন কাজ শেরে সাতকানিয়া রাস্তার মাথা- সাতকানিয়া কলেজ সড়ক দিয়ে বাড়িতে যাওয়া আসা করে। গত ১৬ জুলাই কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রিদুয়ানের নেতৃত্বে কিশোর অপরাধীরা আব্দুল হামিদকে ঘিরে ধরে এক পর্যায়ে তার পেটে ছুরি ঠেকিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। পরের দিন আবারো একই টাইমে হামিদ বাড়ি ফেরার সময় ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর ঢেমশা (চৌধুরী হাট) এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র সাকিবকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আটক করে পুলিশের নিকট সোর্পদ করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে পুলিশ ছদাহা আজিমপুর এলাকার মোক্তার আহমদের পুত্র রায়হান (১৬) ও চন্দনাইশ উপজেলার হাসিমপুর এলাকার কসাই পাড়ার মোহাম্মদ মিয়ার পুত্র মো: হোসেন (১৭)কে আটক করলেও ছিনতাইয়ের নেতৃত্বে থাকা কেওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেওচিয়া ব্যবসায়ী পাড়ার নুরুল কবিরের পুত্র মো: রিদুয়ান পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এবিষয়ে আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে গত ১৮ জুলাই সাতকানিয়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ধৃতদের আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে বলে জানান থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল হোসেন। ওসি রফিকুল হোসেন বলেন, সাতকানিয়ায় চুরি, ডাকাতিসহ অপরাধ কর্ম নেই বললেই চলে। হঠাৎ করে শিশু কিশোর অপরাধীর বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।