সাতকানিয়ায় ছুরিকাঘাত করে আবদুস ছবুর(৪২) নামে এক ট্রাক চালককে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় মো. সেলিম (৪০) নামে আরেকজন আহত হন। রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাজালিয়া বড়দুয়ারা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন বিভাগের জায়গায় সৃজিত বাগানের গাছ কাটার বিরোধকে কেন্দ্র করে বাজালিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়দুয়ারার মৃত আবদুর রহমানের মেয়ে মমতাজ বেগম এবং একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর বাজালিয়ার আহমদ কবিরের ছেলে আবদুল গফুরের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে বিগত ২০–২৫ দিন আগেও দুই জনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আবদুল গফুর উত্তেজিত হয়ে মমতাজ বেগমকে মারধর করে। এরপর থেকে মমতাজ বেগমের ভাই খাইয়ের আহমদ এবং ফয়েজ আহমদ তাদের বোনের মারধরের প্রতিশোধ নিতে আবদুল গফুরকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল।
গতকাল রাত ৮টার দিকে বড়দুয়ারা কলঘর এলাকায় আবদুল গফুরকে একা পেয়ে খাইয়ের আহমদ এবং ফয়েজ আহমদ মিলে মারধর করে। তখন গফুর তাকে মারধরের বিষয়টি মুঠোফোনে তার স্বজনদের জানায়। এরপর আবদুল গফুরের এলাকার লোকজন পশ্চিম বড়দুয়ারাস্থ খাইয়ের আহমদ এবং ফয়েজ আহমদের বাড়ির নিকটবর্তী চায়ের দোকানের সামনে অবস্থান নেয়। গফুরের পক্ষের লোকজনকে বাড়ির কাছে ভিড় করতে দেখে খাইয়ের এবং ফয়েজ ঘর থেকে পালিয়ে যায়। পরে উত্তেজিত লোকজনের গালিগালাজ শোনে খাইয়ের ও ফয়েজের বড় ভাই ট্রাক চালক আবদুস ছবুর ঘটনাস্থলে যান। তখন গফুরের পক্ষের লোকজন আবদুস ছবুরকে মারধর এবং এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে। ছবুরের এলাকার লোকজন ধাওয়া করলে গফুর পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে আবদুস ছবুরকে কেরানিহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া একই ঘটনায় উত্তর বাজালিয়া এলাকার মোঃ সেলিম নামে এক ব্যক্তি আহত হন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, আবদুস ছবুরের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার ওসি মোঃ রফিকুল হোসেন জানান, মূলত গাছ কাটার বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ উৎঘটন এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।