গতকাল সোমবার সাতকানিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ফাইনাল খেলায় সাতকানিয়া মডেল উচ্চবিদ্যালয় ১-০ গোলে করাইয়ানগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে পুরস্কার দেয়ার কথা থাকলেও চ্যাম্পিয়ন এবং রানর্সআপ ট্রফি ছাড়াই ইতি টানল গ্রীষ্মকালীন জাতীয় আন্তঃ স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। খেলা শেষে পুরস্কার দেয়ার কথা থাকলেও তা না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ খেলোয়াড়রা। ক্রীড়ামোদীরা এমন ঘটনাকে খেলোয়াড়দের নিরুৎসাহিত করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। পর পর দু-বছর পুরষ্কার বিতরন না হওয়ায় আয়োজকদের মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার গাফিলতি, স্বেচ্ছাচারিতাকেই দুষছেন তারা। এবছরের ন্যায় বিগত ২০১৭ সালেও গ্রীস্মকালীন জাতীয় আন্তঃ স্কুল-মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয় নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোবারক হোসেন জানান, দ্রুত আয়োজকদের বিগত বছরের পুরষ্কারসহ পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বলেছি। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আজিম শরীফের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গ্রীষ্মকালীন জাতীয় আন্তঃ স্কুল-মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য সরকারিভাবে কোন বরাদ্দ আসে না। স্কুল সমূহ থেকে চাঁদা উত্তোলন করে খেলা পরিচালনা করা হয়েছে। সাতকানিয়া মডেল হাইস্কুল পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়েরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি দাপ্তরিক কাজে ঢাকা এসেছি। সাতকানিয়া ফিরেই আয়োজকদের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করব। সাতকানিয়া মডেল হাইস্কুল প্রধান শিক্ষক রফিকুল হোসেন পর পর দু’বার পুরষ্কার বিতরন না হওয়া সত্যি দুঃখজনক। করাইয়ানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুঠোফোনে জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।