চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানের আবাদী জমি থেকে অবৈধভাবে দিনে-দুপুরে ‘টপ সয়েল’ কাটা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে পৃথকভাবে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে উপজেলার জনগণের পক্ষে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে অভিযোগ করে বলা হয়, ‘উপজেলার ফসলী জমি থেকে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে ‘টপ সয়েল’ কাটা হলেও সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন, থানা এবং কৃষি বিভাগ অজ্ঞাত কারণে একেবারেই নীরব। কৃষকের দারিদ্রতা ও অজ্ঞতাকে পুঁজি করে এক শ্রেণির অসাধু মাটি ব্যাবসায়ী এবং দালালরা নগদ অর্থলোভের ফাঁদে ফেলে স্বল্পমুল্যে আবাদী জমির মাটি কিনে ইট ভাটায় বিক্রি করছেন। তাই ফসলী জমি রক্ষায় অনতিবিলম্বে এ মাটি কাটা বন্ধ না করলে পরিস্থিতির ভয়াবহতা কল্পনাকেও হার মানাবে।’
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, ‘কৃষি জমির মূল্যবান ‘টপ সয়েল’ হিসাবে পরিচিত মাটিগুলো এখন ইট ভাটার পেটে যাচ্ছে। ফসলি জমির ‘টপ সয়েল’ বিনাশের কারণে সাতকানিয়ায় ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে। কারণ জমির উপরিভাগের দেড় থেকে দুই ফুট অংশের মধ্যেই মাটির মূল উর্বরা শক্তি বিদ্যমান। ওই অংশটি নিঃশেষ হলে জমির উর্বরা শক্তি কমে যায়। কিন্তু আগের উর্বরা শক্তি ফিরে আসতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ বছর।’
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় ‘শুধু ‘টপ সয়েল’ই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে এ উপজেলাধীন প্রায় সকল ইউনিয়নে এমনকি পৌর এলাকার জমিতেও ১০ থেকে ১৫ ফুট গভীর কুপ খনন করে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে জমি সংলগ্ন সড়কসমুহ ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সড়ক সমূহের অবস্থা ভয়াবহ রকম নাজুক হয়ে পড়বে।’