গত রবিবার রাতে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মধ্যম কাঞ্চনা এলাকায় অগ্নিকা-ে ৯টি বসতঘর সম্পূর্ণ ভাবে ভস্মীভূত হয়েছে। এতে ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন। ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে কাঞ্চনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মধ্যম কাঞ্চনা মাইজ পাড়া এলাকার আলী আহমদের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পার্শ্ববর্তী আবদুর রহমান, সাদেক আলী, আবু সৈয়দ, নুরুল ইসলাম, নুুরুল আলম, মাওলানা মোবারক হোসেন, মাহফুজা খাতুন ও আলী আহমদের বসতঘর সম্পূর্ণ ভাবে পুড়ে যায়। অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের গৃহকর্তা আবু সৈয়দ ও সাদেক আলী জানান, রাতের ঘটনা হওয়ায় ঘর থেকে কেউ কিছু বের করতে পারেনি। সবকটি পরিবারের সদস্যরা বলতে গেলে এক কাপড়ে বের হয়ে গেছে। অগ্নিকা-ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্রসহ ৯টি পরিবারের ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে এক সদস্য কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছি। কাঞ্চনা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছালাম জানান, অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্তরা একেবারে নিংস্ব হয়ে গেছে। আমরা স্থানীয় ভাবে কয়েকজন মিলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. ইদ্রিচ জানান, অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। মূলত আলী আহমদের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত। ঘটনাস্থলের কাছে পানি থাকায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবারক হোসেন জানান, অগ্নিকা-ের বিষয়টি শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তালিকা হাতে পেলে জেলা প্রশাসকের নিকট পাঠানো হবে। বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে।