সাতকানিয়ার ৬ ইউনিয়নের মানুষ নতুন থানায় রাজী নন

চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার আংশিক অংশ নিয়ে প্রস্তাবিত নতুন থানার সাথে থাকতে রাজী নন সাতকানিয়ার ছয় ইউনিয়নের বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে আগামী শনিবার বিকেল তিনটায় প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছেন সাতকানিয়ার ছয় ইউনিয়নের লোকজন।
চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে চট্টগ্রাম-১৪ সংসদীয় এলাকা গঠিত। সংসদীয় এলাকার চন্দনাইশের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত থেকেছে ইউনিয়নগুলো। সংসদ সদস্যরা নিজেদের ভোটের সুবিধার্থে ইউনিয়নগুলোকে চন্দনাইশ আসনের সাথে সম্পৃক্ত রেখেছেন এমনটি ধারনা সেখানকার সাধারণ মানুষের। এ অবস্থায় সাতকানিয়ার ছয়টি ইউনিয়ননের সাথে চন্দনাইশের দুটি ইউনয়ন সম্পৃক্ত করে ‘দোহাজারি-সাঙ্গু’ নামে নতুন থানা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলে ফুঁসে উঠেন ছয় ইউনিয়নের সাধারণ লোকজন।
সাতকানিয়ার কালিয়াইশের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাফেজ আহমদ, কেওচিয়ার চেয়ারম্যান মনির আহমদ, বাজালিয়ার চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত, পুরানগড়ের চেয়ারম্যান আ ফ ম মাহবুবুল হক, ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী ও খাগরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, প্রস্তাবিত নতুন থানায় সাতকানিয়ার সাথে চন্দনাইশের দুটি ইউনিয়ন সম্পৃক্ত করা হলে ছয় ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ

তা মেনে নেবে না। এতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। বিয়ষটি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন চেয়ারম্যানরা। এতে বলা হয়েছে, সাতকানিয়ার ছয়টি ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন ও প্রশাসনিক বৈষম্যের শিকার। এ অবস্থায় কালিয়াইশ, কেওচিয়া, বাজালিয়া, ধর্মপুর, পুরানগড় ও খাগরিয়া ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে নতুন থানা করা দীর্ঘদিনের দাবি। কিন্তু ছয় ইউনিয়নের সাথে চন্দনাইশের দুটি ইউনিয়ন যুক্ত করে দোহাজারি-সাঙ্গু নামে নতুন থানা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাতকানিয়ার উত্তরাংশের ছয়টি ইউনিয়নের সাধারণ লোকজন নতুন থানা গঠনের এ প্রক্রিয়ার পক্ষে নয়। চন্দনাইশের দুটি ইউনিয়ন বাদ দিয়ে সাতকানিয়ার ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে নতুন থানা গঠন করতে হবে। সাধারণ মানুষের দাবিকে গুরুত্ব না দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এক তরফা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হলে এলাকায় এলাকায় তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হবে।
কেওচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহমদ জানান, চন্দনাইশের সাথে যুক্ত থেকে নতুন থানা সাধারণ লোকজন চান না। প্রয়োজনে সাতকানিয়ার ১৭ ইউনিয়ন থেকে আটটি ইউনিয়ন নিয়ে নতুন থানা করা হোক তাতে কারো আপত্তি নেই। নয়তো আমরা এখন যেভাবে আছি সেভাবেই থাকবো। সাধারণ মানুষের দাবির বিষয়টি জানিয়ে আমরা ছয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঢাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আগামী শনিবার সাতকানিয়ার কেরানীহাটে ছয় ইউনিয়নের লোকজন প্রতিবাদ সবার ডাক দিয়েছেন। খবর দৈনিক পূর্বকোণ