সাতকানিয়ার ছয় ইউনিয়ন নিয়ে “উত্তর সাতকানিয়া” থানা বাস্তবায়নের দাবিতে মহাসড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল চারটায় কেরানীহাট এলাকায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন সম্মিলিত নাগরিক সমাজ। চট্টগ্রাম-১৪ আসনের এমপি আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী মানববন্ধনে একত্ততা ঘোষণা করেন।
এতে ছয় ইউনিয়নের অসংখ্য মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধন চলাকালে ছয় ইউনিয়ন নিয়ে থানা বাস্তবায়নের দাবিতে সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল হোসেনকে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেয়া হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, থানা হলে “উত্তর সাতকানিয়ায়” চাই, না হলে থানার দরকার নাই এই দাবি ৬ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের। প্রক্রিয়া শুরু হওয়া নতুন থানায় চন্দনাইশের কোনো ইউনিয়ন যুক্ত করে থানা বাস্তবায়ন আমরা মেনে নেবো না। আমরা সাতকানিয়ার ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাই। আমাদের দাবি মেনে না নিলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। সাতকানিয়ার ছয়টি ইউনিয়নের সাথে চন্দনাইশের দুটি ইউনয়ন সম্পৃক্ত করে ‘দোহাজারী-সাঙ্গু’ নামে নতুন
থানা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলে ফুঁসে উঠেন ছয় ইউনিয়নের বাসীন্দারা।
চন্দনাইশের দু’টি ইউনিয়ন বাদ দিয়ে নতুন থানা উত্তর সাতকানিয়া নামে বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছেন এই অঞ্চলের মানুষ। একই স্থানে একই দাবিতে শনিবারও প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছে সাধারণ লোকজন। সাতকানিয়ার কেওচিয়া, বাজালিয়া, ধর্মপুর, পুরানগড়, কালিয়াইশ, ও খাগরিয়া ৬টি ইউনিয়ন ও চন্দনাইশের ২টি ইউনিয়ন নিয়ে নতুন থানা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম-১৪ সংসদীয় আসন চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হলেও ভৌগলিক অবস্থান ও রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে পড়ে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে ছয় ইউনিয়নের মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, সম্মিলিত নাগরিক সমাজের নেতা আ.স.ম ইদ্রিস, ওচমান আলী, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, শহীদুল ইসলাম বাবার, মাষ্টার জয়নাল আবেদীন, শাহারিয়ার আলম, মাষ্টার মহিউদ্দিন, সুজা, অধ্যাপক এহছানুল মৌলা, মো. রিপন দাশ সুজন, হেলাল উদ্দিন টিপু, হাসান মাহমুদ, জহিরুল ইসলাম, মো. আলী, আমিনুল ইসলাম, আবুল কালাম, মো রুবেল।