শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে

গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া শ্রীমঙ্গল, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিদ্যমান এ শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

দিনাজপুরে শীতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবারের ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেড়ে আজ বুধবার ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে। গত সোমবার এ জেলার তাপমাত্রা ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল। 

তবে তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের তীব্রতা কমেনি। কুয়াশাও বেড়েছে। তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। শ্রমজীবী মানুষও কাজে বের হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গায় শীতে ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচল দারুণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। 

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সক্রিয় রয়েছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। শীতার্ত মানুষেরা আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফ ২৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুর ৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বুধবার সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে ও সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ২৯ মিনিটে।