উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩ হাজার হেক্টর উঁচুনিচু জমিতে রবি মৌসুমে শীতকালীন শাক সবজি ও মসলা জাতীয় ফসল ব্যাপক হারে উৎপন্ন হয়েছে। তাই বাজারে আসছে প্রচুর তরি-তরকারি। ক্ষুদ্র চাষীদের কাছ থেকে নগরীর ও বিভিন্ন উপজেলার পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জাতের সবজি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, সাধনপুর, শীলকূপ, জলদী, পুকুরিয়া, বৈলছড়ী, কালীপুর, চাম্বল ও নাপোড়া এলাকায় সবচেয়ে বেশি শাকসবজির চাষাবাদ হয়ে থাকে। অন্য ফসলের চেয়ে সবজি চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে কৃষকরা। সবজির মধ্যে আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, শসা, বেগুন, টমেটো, শিম, গাজর ইত্যাদি হাট বাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে।
কৃষক আবদুল মতলব জানান, টমেটোর এখানেও প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। প্রতি কেজি ৩০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর কৃষকরা সফলতা পেয়েছে।
সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা জানান, সাধনপুর এলাকায় পাহাড়ি চড়ার পানি ব্যবহার করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন জাতের শাকসবজি উৎপন্ন করে বাজারে বিক্রি করছে। প্রতিটি কৃষক পরিবার বার মাস সবজি চাষাবাদ করে সংসারের ভরণ পোষণ চালিয়ে যাচ্ছে।
বাঁশখালী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, বাঁশখালীতে প্রচুর পরিমাণ সবজি চাষাবাদ হয়ে থাকে। কৃষকরা আগাম চাষ করে ব্যাপক সবজি উৎপাদন করে। রবি মৌসুমে আলুসহ ২ হাজার ৮শ’ হেক্টর ও ধনিয়া মরিচ, পিয়াজ, রসুন, আদা হলুদ ৩৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী বাজারে দামও পাচ্ছে।