শিশুর নিউমোনিয়া হলে করণীয়

নিউমোনিয়া খুব প্রচলিত সমস্যা শিশুদের ক্ষেত্রে। সময়মতো চিকিৎসা না নিয়ে এ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

কী করে বুঝবেন?

১. যদি শিশু স্বাভাবিকের চেয়ে নিম্নরূপে দ্রুত শ্বাস নেয়-

বয়স প্রতি মিনিটে

০- ২ মাস ৬০ বা তারও বেশি

২-১২ মাস ৫০ বা তারও বেশি

১-৫ মাস ৪০ বা তারও বেশি

২. শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের নিচের অংশ ভেতরের দিকে বসে গেলে

৩. শ্বাস- প্রশ্বাসের সঙ্গে খিচুনি হলে

৪. বুকের দুধ সহজে টানতে না পারলে বা পানি পান করতে না পারলে।

৫. দুই মাসের কম বয়সী শিশুর জ্বর বা শরীর অস্বাভাবিক ঠান্ডা হয়ে গেলে।

শিশুর নিউমোনিয়া যদি কেবল ওপরের এক এবং দুই নং উপসর্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে ঘরে বসেই শিশুর চিকিৎসা করা সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে কী করবেন?

* যেহেতু সর্দি কাশিতে বুকের দুধ খাওয়া শিশুর কষ্টকর হয়ে পড়ে, তাই শিশুর নাক   পরিষ্কার রাখতে হবে, যেন সে নির্বঘ্নে বুকের দুধ ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে। * এটি তাকে রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে এবং দ্রুত সুস্থ করে তুলবে।
* যেসব শিশু মায়ের বুকের দুধ খায় না, তাদের অল্প পরিমাণ খাবার বারে বারে         খাওয়াতে হবে।
* সর্দি কাশিতে আক্রান্ত শিশুকে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি পানীয় দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে, লেবুর শরবত, অল্প গরম পানি, হালকা লিকার চা, মধু খাওয়ানো যেতে পারে। এতে সর্দি কাশির উপশম হবে।
* আক্রান্ত শিশুর জ্বর থাকলে তাকে জলপট্টি ( যদি শিশুর বয়স দুই মাসের কম হয়) কিংবা প্যারাসিটামল খাইয়ে ( এ ক্ষেত্রে শিশুর বয়স দুই মাসের বেশি হতে হবে) জ্বর কমানো যেতে পারে। এখানে খেয়াল রাখতে হবে যেন আক্রান্ত শিশুর শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে না যায়। কাজেই তাদের কাপড় দিয়ে নাক পরিষ্কার করা উচিত।
* উল্লেখিত তিন, চার, ও পাঁচ নং উপসর্গ দেখা দিলে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

কী করবেন না?

* অযথা অ্যান্টিবায়োটিক ও কফ সিরাপ ব্যবহার করবেন না।
* ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রাখবেন না। তবে কনকনে ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলতে হবে।
* বড়দের সর্দি কাশি হলে শিশুদের কাছে যাবেন না।