লোহাগাড়ায় জালালি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি. এ নামে একটি প্রতিষ্ঠান কোটি টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট ৪ জনের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ১৩ জন গ্রাহক। চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন লোহাগাড়া উপজেলা সদরের সরকারপাড়ার বাসিন্দা। অভিযুক্ত অপর তিনজনের মধ্যে রয়েছেন চেয়ারম্যানের স্ত্রী রোজিনা আক্তার রোজি, অপর দু’জন তারই আত্মীয় যথাক্রমে উত্তর কলাউজানের মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. আরফাত।
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা নানাভাবে লাভের প্রলোভনে ফেলে গ্রাহকদের টাকা নিয়েছেন। টাকা দাবি করলে সোসাইটির চেয়ারম্যান নানা ধরণের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা সদরের এ. এম. শপিং কমপ্লে ক্সের ৪র্থ তলার উক্ত কো-অপারেটিভ সোসাইটির অফিসটি বন্ধ অবস্থায় দেখা যায়।
মো. মঞ্জুরুল হক নামে একজন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। মঞ্জুরুল হক সাতকানিয়া উপজেলার চিববাড়ির বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, বিনিয়োগের ৫০ লাখ টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্ত আব্বাস উদ্দিন নানাভাবে হুমকি দিয়ে থাকে। লোহাগাড়া সদরের বিল্লাপাড়ার ওসমান গণির স্ত্রী শাকিলা বেগম ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। পদুয়া ইউনিয়নের মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম সাড়ে ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও অভিযোগ করেছেন লোহাগাড়া বটতলীর হাজি বদিউর মার্কেটের দোকানদার মো. ইদ্রিছ, মো. জাহাঙ্গীর, সাতকানিয়া উপজেলার গারাঙ্গিয়া গ্রামের নয়ন সিকদার পাড়ার আবদুর রহিম, পদুয়া ইউনিয়নের বেপারীপাড়ার হাজেরা বেগম, শাহিন আক্তার, সাতকানিয়া ছদাহা এলাকার ফাতেমা বেগম, লোহাগাড়া ৭নং ওয়ার্ডের শাকেরা বেগম, লোহাগাড়া ইউনিয়নের বিল্লাপাড়ার আমেনা বেগম, আবু আহমদ, মল্লিক ছোবহান আলী সিকদার পাড়ার নুরুল আবছার প্রমুখ।
অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, উক্ত কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে তারা লাভের আশায় টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। পরে লভ্যাংশ তো দূরের কথা আসল টাকা নিয়ে তাদের ঘরে-সংসারে অশান্তির আগুন জ্বলছে। এ ব্যাপারে গ্রাহকগণ তাদের টাকা ফেরত পাওয়া ও আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট অন্যদের সাথেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, তাদের কাউকেও পাওয়া যায়নি।