মেহেদীর রং মুছে না যেতেই নববধূর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে লোহাগাড়া উপজেলায় কলাউজান ইউনিয়নের পূর্ব বলাউজান অল্যা মা’র পাড়াজুড়ে ভাবীর সাথে স্বামীর পরকীয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। গত ১৭ আগষ্ট দুপুরে শ্বশুরালয়ে নববধূ জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটে। এটি হত্যা, না স্বাভাবিক মৃত্যু- এ নিয়ে এলাকাবাসী ও নববধূর পিত্রালয়ের লোকজনের মাঝে নানা সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে। তরে এ মৃত্যুর সঠিক রহস্য জানতে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
জানা যায়, পূর্ব কলাউজানের অল্যা মা’র পাড়ার আবদুল গফুরের পুত্র বিদেশ ফেরত কুতুব উদ্দিনের সাথে একই ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার হাফেজ এক বিয়ের আক্দ নিকাহনামা ৪ লক্ষা টাকা দেনমোহর ধার্য করে গত ২৭ জুলাই এবং বিয়ের অনুষ্ঠান ৩ আগস্ট সম্পন্ন হয়। নববধুর পিতা প্রতিবন্ধী হাফেজ হোসাইন আহমদ জানান, আমার মেয়ে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত এবং ইসলামী আদর্শের অনুসারী। মেয়ে শ্বশুরবাড়ি যাবার পর জানতে পারে স্বামী কুতুব উদ্দিনের সাথে পার্শ্ববর্তী চাচাত ভাবীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। মেয়ে তার স্বামীকে এসব আপত্তিকর সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে বলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন তার পরিবারের লোকজন । তিনি জানান, ঘটনার দিন অনুমানিক দুপুর ১১টায় মেয়ের স্বামী কুতুব উদ্দীন হঠাৎ তার শাশুড়ীকে মোবাইল ফোনে তাদের বাড়িতে যেতে বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ সময় মেয়ের মা ফোনে মেয়ের শোর- চিৎকারের আওয়াজ শুনছিলেন। একপর দুপুর ১২টায় কে বা কারা ফোন করে তার মেয়ে মারা যাবার সংবাদ দেয় এবং তাদেরকে সেখানে যেতে বলে।
তিনি আরো জানান, মেয়ের নানা বাড়ি ঘটনাস্থলের পাশে হওয়ায় মামী গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা সদরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একপর মেয়ের লাশ তড়িঘড়ি দাফন করার চেষ্টা করায় লেকজনের সন্দেহ হলে লোকজন লোহাগাড়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। লোহাগাড়া থানার এস আই আহসান হাবিব ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণের প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেন। ঘটনায় মেয়ের স্বামী কুতুব উদ্দীন, শ্বশুর আবদুল গফুর ও শ্বাশুড়ি ছমুদা খাতুনকে অভিযুক্ত করে নিহতের পিতা লোহাগাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আইয়ুব জানান, নববধুর রহস্যজনক মৃত্যুকে নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পার ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো: সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্তদের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।