লোকসভা নির্বাচনে কারিনা?

ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচন হবে আগামী এপ্রিল ও মে মাসে। এদিকে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। নানাভাবে সাধারণ ভোটারদের আগ্রহ ও আকর্ষণ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও শুরু হয়েছে। ভোটের ময়দানে চমক দেওয়ার চেষ্টা করবে রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের বড় চমক থাকে বড় পর্দা, ছোট পর্দা আর সংগীতজগতের তারকাদের ঘিরে। নির্বাচনে জনপ্রিয় তারকাদের মনোনয়ন দিয়ে বড় চমক দেওয়ার চেষ্টা কোনো নতুন ঘটনা নয়। এবার শোনা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস থেকে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা কারিনা কাপুর খানকে মনোনয়ন দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

কারিনা কাপুর খানকে কংগ্রেস কেন লোকসভা নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে চাচ্ছে? সারা ভারতে কারিনা কাপুর খানের ভক্ত যেমন আছে, তেমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে তাঁর বিশাল অনুসারী। এই সুবিধাটুকু ভোটে কাজে লাগিয়ে কারিনা কাপুর খানকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় কংগ্রেস। আর এই ভাবনা মোটেও হঠাৎ করে আসেনি, এমনটা নাকি মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস অনেক দিন থেকেই ভাবছে। মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্ব মনে করছে, যুব ও তরুণ ভোটারদের টানার জন্য কারিনা কাপুর খানের মতো প্রার্থীকেই প্রয়োজন।

আরও জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশে পতৌদি রাজবংশের কার্যকর প্রভাব রয়েছে। তা মাথায় রেখে মধ্যপ্রদেশ থেকে কারিনা কাপুর খানকে ভোটে প্রার্থী করতে চায় কংগ্রেস। তাঁর শাশুড়ি বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর নাকি অনেক দিন ধরেই কংগ্রেসের খুব ঘনিষ্ঠ। একসময় পুরো পতৌদি পরিবার কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ ছিল। সাইফ আলী খানের বাবা জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মনসুর আলী খান পতৌদি ১৯৯১ সালে ভোপাল থেকে কংগ্রেসের হয়ে ভোটে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তার ওপর ভর করে ওই আসনে বিজেপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে জয়ী হয় কংগ্রেস। ধারণা করা হচ্ছে, এবার লোকসভা নির্বাচনে সেই আসনেই কারিনা কাপুর খানকে প্রার্থী করা হতে পারে।

তবে কারিনা কাপুর খান, কংগ্রেস কিংবা পতৌদি পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

এদিকে কারিনা কাপুর খানের পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে বলিউডের আরও কয়েকজন তারকার ব্যাপারে কংগ্রেসের আগ্রহের কথা শোনা যাচ্ছে। এই তারকাদের মধ্যে আছেন মাধুরী দীক্ষিত, কঙ্গনা রনৌত প্রমুখ। তবে শেষ পর্যন্ত কে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।