প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধান চেয়ে বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সাম্প্রতিক সময়ে নির্যাতনের মাধ্যমে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুরো চাপ বাংলাদেশ একাই সামলাচ্ছে। খবর বাসস।
যুক্তরাজ্যে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে (ওডিআই) ‘বাংলাদেশ’স ডেভেলপমেন্ট স্টোরি: পলিসিজ, প্রগ্রেসেজ এন্ড প্রসপেক্টস’শীর্ষক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এ সংকটের শান্তিপূর্ণ, টেকসই ও আশু সমাধান চায়। মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী দমন অভিযান শুরু করার পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা এখন ১১ লাখ। বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় তাদের আশ্রয় দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি সরেজমিনে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিজ চোখে দেখেছি। অনেক বিশ্ব নেতা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভেতর ১০ লক্ষাধিক দেশান্তরী মিয়ানমার নাগরিকের অভিবাসনের পাশাপাশি আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদ মোকাবেলায় লড়াই করছি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আমাদের পোশাক কারখানাগুলোকে নিরাপদ করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৭টি লিড সনদধারী তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। ৭টি পরিবেশবান্ধব কারখানা ও বস্ত্র কারখানা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রনীতির উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার ব্যবসা বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং কূটনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সকল দেশের সঙ্গে বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। রূপান্তরযোগ্য প্রযুক্তির জন্য আমাদের জ্ঞান ও ইনোভেশন অংশীদারিত্বের প্রয়োজন। আমরা জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছি।