রীমা কমিউনিটি সেন্টারের কার্যক্রম স্থগিত

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১০ জন নিহতের ঘটনায় রীমা কমিউনিটি সেন্টারের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করছে প্রশাসন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম মুস্তাইন হোসেন বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে মেজবান খেতে গিয়ে রীমা কমিউনিটি সেন্টারের ঢালু স্থানে নামতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১০ জন প্রাণ হারান। এ সময় আরো অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন।

আহতদের অনেকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, আর বেশ কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

নিহতরা হলেন-নিহতরা হলেন মৃত বিনোদবিহারী দাসের ছেলে ঝন্টু দাস (৪৫), রামমোহন দাসের ছেলে কৃষ্ণপদ দাস (৪৫), দীপঙ্কর দাস রাহুল (২৫), ননীগোপাল ভৌমিকের ছেলে অলোক ভৌমিক (৩৬), লালমোহন দাসের ছেলে সুধীর দাস (৪৫), মনোরঞ্জন তালুকদারের ছেলে প্রদীপ  তালুকদার (৫০), প্রকৃতিরঞ্জন দে’র ছেলে লিটন দে (৫৩), টিটু (৩২), ধনা শীল (৬৫) ও আশীষ বড়ুয়া।

এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি উপলক্ষে মেজবানির জন্য ১২টি সেন্টারে আয়োজন করা হয়। রীমা কমিউনিটি সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বলেন, ১২টি সেন্টারের মধ্যে জামালখানের রীমা কমিউনিটি সেন্টারে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য খাবারের আলাদা আয়োজন করা হয়। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে সেন্টারে প্রবেশ করতে গিয়ে মানুষের অতিরিক্ত চাপে পদদলিত হয়ে এই ঘটনাটি ঘটে।

গেল বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় ৭৪ বছর বয়সে মারা যান চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী।  তার কুলখানি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল এবং নগরীর ১২টি কমিউনিটি সেন্টারে ৮০ হাজার মানুষের মেজবান আয়োজন করা হয়েছিল। তার মধ্যে রীমা কমিউনিটি সেন্টার ছিল অন্যতম।