নিজের জার্সি হাতে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ। জার্সি নম্বরটা বেশ চেনা। কারন ৫৩ নং স জার্সি পরেই খেলেন মিরাজ। কিন্তু নাম্বারের নিচে নাম লেখা মিনারা। একইভাবে লরি ইভান্সের জার্সিতে তেমনি লেখা ‘সুজান’। নামগুলি আসলে তাদের মায়েদের। আজ বুধবার বিপিএলের সিলেট পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ম্যাচটি নিজেদের মায়ের নামাঙ্কিত জার্সি পরে খেলবেন রাজশাহী কিংসের ক্রিকেটাররা। মায়েদের প্রতি সম্মান জানাতেই রাজশাহী দলের এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে। এ দিন যদিও মা দিবস নয় কিংবা বিশেষ কোনো উপলক্ষ্য নয়। তবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী কিংস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে মায়েদের যে অবদান ও ভূমিকা রয়েছে তাতে জার্সিতে মায়ের নাম পরে মাঠে নামতে বিশেষ কোনো উপলক্ষ্যের প্রয়োজন হয় না।
এদিকে মায়ের নামে জার্সি গায়ে চাপানোর জন্য যেন তর সইছে না রাজশাহী অধিনায়ক মিরাজের। এই তরুণ অল রাউন্ডার বলেন এমন কিছুর অভিজ্ঞতা আমার প্রথমবার হবে। মায়েদের জন্য কিছু করতে পারা আমাদের জন্য সত্যিই বিশেষ কিছু। আমরা ম্যাচটি জিতে মায়েদের উৎসর্গ করতে চাই। একই রকম রোমাঞ্চ ছিল সহ-অধিনায়ক সৌম্য সরকারের কণ্ঠেও। তিনি বলেন আমাদের দেশে মনে হয় এ রকম কিছু এটিই প্রথম। সবসময় আমরা নিজের নাম বা ডাকনাম নিয়ে খেলেছি। এরকম কিছু হতে পারে আগে ভাবিনি। আমরা সবসময় বলি, মায়ের জন্য কিছু করতে চাই। এবার সেটিই করে দেখানোর সময়। ম্যাচটি জিতে মায়েদের উৎসর্গ করতে চাই আমরা।
রাজশাহী কোচ ও সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ল্যান্স ক্লুজনার নিজের উদাহরণ দিয়ে অনুরোধ করলেন, মায়েদের প্রাপ্য গুরুত্বটুকু দিতে। এই প্রোটিয়াস অল রাউন্ডার বলেণ মা আমার কাছে বিশেষ একজন। আমার দিনটি কেমন গেল, সেটি সবার আগে সবসময় যিনি জানতে চান তিনি আর কেউ নন, তিনি আমার মা। প্রতিদিন তার সঙ্গে কথা বলি আমি। আমরা অনেকেই প্রায়ই মায়েদের ভুলে যাই। চারপাশের অন্যদের নিয়ে ভাবনায় পড়ি। আমি তাই সবার প্রতি আবেদন জানাব, দিনে অন্তত একবার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে এবং আমাদের জন্য যা করেছেন সেটিকে মূল্যায়ন করতে। এদিকে রাজশাহী কিংসের প্রধান নির্বাহি অফিসার তাহমীদ আজিজুল হক জানালেন, কোটি কোটি মানুষের অনুপ্রেরণার নাম হলো মা। এটা থেকে রাজশাহী কিংসও ব্যতিক্রম নয়। মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে এই উদ্যোগ। মায়েরাই তো জাতির আসর মেরুদন্ড। ২০১৬ সালের অক্টোবরে ভাইজাগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নিজেদের মায়ের নামাঙ্কিত জার্সিতে খেলতে নেমেছিল ভারত। সেটি ছিল ভারতের টিম স্পন্সর স্টার স্পোর্টসের উদ্যোগ।