‘যে কোন মূল্যে বিশ্বকাপ খেলতে চাই’

সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ফিল্ডিংয়ের সময় বাঁপায়ের গোঁড়ালিতে চোট পাওয়ায় গত তিন সপ্তাহ তাসকিনের সঙ্গী হয়েছিলো ক্র্যাচ। অবশেষে সেই নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসছেন নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে ছিটকে পড়া এই টাইগার গতি তারকা। আজ থেকে নিজ পায়ে ভর করে আবার নতুন করে পথচলা শুরু করবেন। আর এর মধ্য দিয়েই শুরু হবে তার মাঠে ফেরার লড়াই। গতকাল বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীকে চোটাক্রান্ত পায়ের সর্বশেষ অবস্থা দেখাতে এসেছিলেন বিপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাসকিন। চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা শেষে সংবাদ মাধ্যমকে নিজেই এসব তথ্য দিলেন। তাসকিন কথা বলেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মাঠে ফেরার চ্যালেঞ্জ এবং বিশ্বকাপ ভাবনা নিয়েও।
প্রশ্ন: ডাক্তার কী বলেছেন?
তাসকিন: আল্লাহর রহমতে ভালো। তিন সপ্তাহ শেষ হলো। আমি এত দিন ক্র্যাচে করে হেঁটেছি। কাল থেকে ক্র্যাচ ছাড়া হাঁটব। আর রিহ্যাব প্রোগ্রামের একটু আপগ্রেড করার শিডিউল দিয়েছে। এক্সারাসাইজ আরও বাড়াবো।
প্রশ্ন: এখন কেমন অনুভব করছেন?
তাসকিন: নিজের কাছেও ভালো লাগছে। এখন আস্তে আস্তে ক্র্যাচ ছাড়া নরমালি দুই পায়ে দাঁড়াতে পারছি, হাঁটতে পারছি। এখন পর্যন্ত পজেটিভ সবকিছু। ভালোর দিকে যাচ্ছে এখন।
প্রশ্ন: ডাক্তার কী কী নির্দেশনা দিয়েছেন?
তাসকিন: আমি এখন অন্য এক্সারসাইজ গুলো করছি। আগের চেয়ে বেটার আল্লাহর রহমতে। আশা করি এভাবে চলতে থাকলে আমার জন্য বেটার কিছুই হবে।
প্রশ্ন: প্রিমিয়ার লিগে সুপার লিগ খেলা সম্ভব?
তাসকিন: ইনশা আল্লাহ আমিও আশা রাখি। কোনো প্রবলেম না হলে সব কিছু এভাবে স্মুথলি চলতে থাকলে ডেফিনিটলি সুপার লিগ থেকে খেলতে পারব।
প্রশ্ন: বিপিএলে দারুণ ছন্দে ছিলেন। এরপর ইনজুরিতে পড়লেন। আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে।
তাসকিন: আসলে ছন্দে থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেইন জিনিসটা হলো ভালো খেলার পেছনে মানুষের আত্মবিশ্বাস। ওইটা ঠিক আছে। একটু মন খারাপ হলে যখন মনে হয় যে খেলতে পারছি না, যখন মনে হয় যে নিউজিল্যান্ড সিরিজে খেলতে পারলাম না, তখন আমি বিপিএলের বোলিং ভিডিওগুলো দেখি। তবে সব ঠিক আছে, এটা পার্ট অব লাইফ। সামনে যেহেতু আমার স্বপ্ন আসছে। সেটার জন্য যা যা করনীয় সেটাই করার চেষ্টা করব।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপ সামনে রেখে প্রিমিয়ার লিগটা কীভাবে নিচ্ছেন?
তাসকিন: যদি আমি ইনজুরড নাও হতাম, খেলা শুরু যখন হত তখন থেকেই প্রিমিয়ার লিগকে আরও গুরুত্ব দিয়ে খেলতাম। প্রত্যেকটা সেশনই গুরুত্বপূর্ণ। যখন একটার পর একটা ইনজুরি হয়েছে, সব মিলিয়ে একটা কঠিন সময় গিয়েছে। আসলে ভালো খেলার সময়টা যত বড় করা যায় ক্যারিয়ারের জন্য, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে প্রিমিয়ার লিগ শুরু হলে আমি আমার সেরাটা দিতে চেষ্টা করব। আমার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যেন সুযোগ হয়। যে কোন মুল্যেই আমি বিশ্বকাপ খেলতে চাই।
প্রশ্ন: আগেরবার ইনজুরি থেকে খেলায় ফিরতে সময় লেগেছে। এবারও সেই একই অবস্থা। ইনজুরিকে অভিশপ্ত মনে হয় কী না?
তাসকিন: হ্যাঁ, এটা তো অবশ্যই ফাস্ট বোলারের জন্য। তবে ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। আমার যেই রোল মডেল, মাশরাফি ভাই, তিনি অনেক স্ট্রাগল করে লিজেন্ড হয়েছেন। তো এটা মানতে হবে, ফাস্ট বোলার হিসেবে ইনজুরি আসবে। যত দ্রুত কামব্যাক করা যায় ততই ভালো। এই যে বললেন, সময়ের কথা। কিন্তু মানসিকভাবে শক্ত থাকলে কম সময়েও কামব্যাক করা যায়। ইনশা আল্লাহ আমি পারব।