জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। খালেদা জিয়ার বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আদালত এ আদেশ দেন। বললেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
রায় ঘোষণার পর আজ (সোমবার) সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টের এ রায়ের প্রমাণ করে সরকার আদালতের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করেন না। আদালত স্বাধীন। আদালতের এ রায় জেলখানায় আসার পরই বেগম জিয়া মুক্তি পাবেন।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
গতকাল রোববার বিশেষ আদালতের রায়ের নথি হাইকোর্টে না পৌঁছায় আদেশের জন্য আজকের দিন সোমবার ঠিক করেছিলেন আদালত। পরে বিশেষ ব্যবস্থায় আজ দুপুরের পরে নিম্ন আদালত থেকে রায়ের নথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছে।
গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। পাশাপাশি স্থগিত করেন তার অর্থদণ্ড। এর ধারাবাহিকতায় আজ এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
গেলো ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। এছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৫ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। পরে বিচারক পরিবর্তন হয়। শুনানি শেষে পরিবর্তিত নতুন বিচারক ড. আখতারুজ্জামান ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় দেন।