মেসি বাংলাদেশে আসছেন আবার!

২০১৯ সালের এপ্রিল চলছে। বছরটা পেরোলেই আসছে ২০২০ সাল। ঠিক ১০০ বছর আগে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এরই মধ্যে আগামী বছরটা ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বিশেষ এই বছরটাকে বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। দেশের মানুষকে বড় ধরনের চমক দিতে চায় বাংলাদেশ সরকার। আর চমকের অংশ হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে পা রাখতে পারেন আধুনিক ফুটবলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তারকা লিওনেল মেসি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও আর্জেন্টিনার নতুন রাষ্ট্রদূত ডেনিয়েল চোবুরুর মধ্যে এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় মেসিসহ দ্বিতীয়বারের মতো আর্জেন্টিনা ফুটবল দলকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বিশেষ আয়োজন হিসেবে আর্জেন্টিনা দলকে বাংলাদেশে আনার জন্য মুখিয়ে রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল আর্জেন্টাইন দূতাবাসের (দিল্লি থেকে পরিচালিত) রাষ্ট্রদূতকে এ ব্যাপারে প্রস্তাব দেন প্রতিমন্ত্রী।

তবে মেসির ঢাকায় আসার আলোচনাটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রায় আট মাস পর সম্প্রতি আবার আর্জেন্টিনা দলে প্রত্যাবর্তন করেছেন লিওনেল মেসি। তবে আর্জেন্টাইন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনাটা প্রাথমিক পর্যায়ের হলেও আগামী বছর দলসহ তাঁকে ঢাকায় আনার পরিকল্পনাটা সাফল্যের মুখ দেখতে পারে। কারণ, প্রতিবছর মার্চের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ত সূচির ফাঁকে আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্য বিরতি থাকে। তখন নিজ নিজ দেশের হয়ে খেলে থাকেন ফুটবলাররা। ফলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইচ্ছাটা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশ প্রবলই বলা চলে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন মেসি। পরের দিন ৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচও খেলে তারা। আর্জেন্টিনার জয় পাওয়া সেই ম্যাচে নিজে গোল না পেলেও ফুটবলীয় ক্যারিশমা দেখিয়ে ঢাকার দর্শকদের মুগ্ধ করেন মেসি।