মৃত্যু উপত্যকা থেকে ‘শান্তির জনপদ’ সৃষ্টি করেছেন অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দী নএমপি।এমপি নদভী মানেই হাজারো আশা:লাখো মানুষের দোয়া:অজস্র উন্নয়ন: বিপুল শান্তি:-
আমরা কেবল গুণী খুঁজে বেড়াই। নিজেদের গড়তে তাঁরা আদর্শ। অথবা সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণেও তাঁরা অনন্য। এমন গুণীজনের মধ্যে একাধিক গুণ থাকলে তাঁরা আরো বেশি ভালোলাগা-ভালোবাসার পাত্র। মানবিক, সামাজিক, পারিবারিক, রাজনৈতিক গুণে তেমন একজন ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভী এমপি। আমরা এসব গুণাবলীকে গ্রহন করতে পারি। কেউ কেউ স্বার্থগত কারণে বর্জনও করতে পারেন। তবে আমি-আপনি কেউ এসব বিরল গুণকে অস্বীকার করতে পারবো না। নিচে কয়েকটি কেবল তুলে ধরছি।
মৃত্যু উপত্যকা থেকে শান্তির জনপদে রূপান্তর: মহাত্না গান্ধীর একটি কথা আছে যে, চোখের বদলে চোখ তুলে নেয়া যাবে না, এতে দুনিয়াটা অন্ধ হয়ে যাবে। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আগে চলতো খুনের বদলে খুন, সন্ত্রাসের বিপরীতে সন্ত্রাস। আর এখন সেই অন্ধকারে যেন আলো জ্বেলেছেন অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দীন। চোখের বদলে চোখ নয়, তিনি ভালোবাসা বিলিয়েছেন। মৃত্যু উপত্যকা হিসেবে কুখ্যাত এলাকাটি এখন ‘শান্তির জনপদ’ হিসেবে সবখানে পরিচিত। দীর্ঘদিনের প্রতিহিংসা, বিভেদ, হানাহানি, সাম্প্রদায়িকতা প্রভৃতির বিপরীতে গড়ে তুলেছেন শান্তিময় পরিবেশ। ভাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতির এই কথা এখন সকলের মুখে মুখে। সবখানে এজন্য তিনি আলাদাভাবে প্রশংসিতও।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন: যাঁরা এমপি নদভীর কাছের লোক তাঁরা জানেন তিনি কতটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন। আমি নিজেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মূল্যায়নের সাক্ষী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে একবার এমপি মহোদয়ের পরিবারের সাথে দেখা করেন। উক্ত সময় প্রায় ১৮ মিনিট সময় দেন । এছাড়া বিভিন্ন সময়েও তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হিসেবে বিভিন্ন বিভিন্ন ইস্যুতে দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দেন।
একজন স্কলার ও গৌরবময় প্রোফাইলের অধিকারী: এমপি নদভী একজন ইসলামিক স্কলার। সেটা দেখা যায় মসজিদে খুতবা পাঠে, বিশ্ববিদ্যাললে ক্লাস নিতে, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের বক্তব্যে কিংবা দেশ-বিদেশে অনুষ্ঠিত আর্ন্তজাতিক সেমিনার-কনফারেন্সে তাঁর বিজ্ঞ লেকচারে।
মাতৃভাষা ছাড়াও আরবী, ইংরেজি, হিন্দী, ফার্সি, উর্দুসহ বিভিন্ন ভাষায় তাঁর অগাধ দখল আছে। এছাড়া ব্যক্তি জীবনে এমপি ছাড়াও তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্ণর, খ্যাতনামা সাজকল্যাণ সংগঠন আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগঠকসহ বিভিন্ন সম্মানজনক পদে আছেন।
জন্ম থেকেই রাজনীতিক ও ধর্মীয় জ্ঞানের পান্ডিত্য : এমপি নদভী হলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাবুনগর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মক্কার বাড়ির সর্বজন শ্রদ্ধেয়, সব দল, সব ধর্ম ও মতের মানুষের প্রিয়জন, বিশিষ্ট আলেম, আল্লামা আবুল বারাকাত মুহাম্মদ ফজুলুল্লাহ (রহ:) এর পুত্র। তাঁর পূর্ব পুরুষ “ইয়াসিন মক্কী” পবিত্র মক্কা নগরী থেকে বাংলাদেশে আগমন করেন। তাই এটি ‘মক্কার বাড়ি’ নামে পরিচিত। তাঁর দাদা মাওলানা নুরুল হুদা (রহ:) একজন প্রসিদ্ধ আলেম ও আধ্যাত্মিক সাধক ছিলেন। এমন এক পরিবারে থেকে তিনি ধর্মীয় জ্ঞানে বিপুলভাবে সমৃদ্ধ হন।
অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেম নির্ভর, নৈতিক মূল্যবোধ ও গতিশীল রাজনীতির দীক্ষাও তিনি পান এই পরিবার থেকে। তাঁর বড় ভাই আবু ছফা মুহাম্মদ নাজিমুদ্দিন ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা, যাঁর কাছ থেকে সেবাগত বিভিন্ন দিক জেনেছেন তিনি। তাঁর মেজ ভাই মরহুম আবু জিয়া মুহাম্মদ শামসুদ্দিন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, নিজেও সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করেছেন. পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ নেতা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখনো ভালোভাবে মনে রেখেছেন এই সৎ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে। তাঁর ছোট ভাই ড. আবুল আলা মুহাম্মদ হোছামুদ্দিন হলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। একই সাথে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শেও পতাকা বহন করে চলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ-এর কেন্দ্রেীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি। পরিবার থেকে থেকে পাওয়া এমন মনোরম ও উদার রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিবেশের প্রতিফলন আমরা পাই এমপি নদভীর জীবনে।
উন্নয়নেও এগিয়ে: সাতকানিয়া-বাঁশখালী সড়ক এদিকে মেরামত হয় তো ওইদিকে নষ্ট হয়। এমন নড়বড়ের জায়গায় কংক্রিটের রাস্তা গড়ার মতো যুগান্তকারী পদক্ষেপটি নিয়েছেন তিনি। এমন আরো অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন সারা সাতকানিয়া-লোহাগাড়া জুড়ে প্রায়ই ২০০০ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন তিনি।
সৎ ও নির্লোভ: কতজনের ব্যাপারে কতকিছু শোনা যায়। কেউ কি বলতে পারবেন এমপি নদভী কোন প্রকল্প বা কোন কাজের দুর্নীতিতে আছেন? আল্লাহ তাঁকে অনেক দিয়েছেন। তাই তিনি সরকারি ফান্ড, বেসরকারি ফান্ড, বৈদেশিক ফান্ড, এমনকি ব্যক্তিগত ফান্ডকে উজাড় করে দিচ্ছেন উন্নয়ন ও জনসেবায়। একই সাথে টিআর, কাবিখাসহ অন্যান্য প্রকল্পগুলোতে যাতে দুর্নীতি না হয়, যাতে যোগ্য লোক কাজ পান সেজন্য সদা সচেষ্ট থাকেন। এজন্য কারো কারো চক্ষুশূল হতে হলেও হয়েছেন।
আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে খেদমত: মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়া থেকে যৌতুকবিহীন বিয়ে, হজ্জ্ব-ওমরাহ পালনের ব্যবস্থা, মেধাবৃত্তি, শিক্ষা সহায়তা, আবাসন প্রকল্প, নলকূপ স্থাপনসহ নানাকাজে তিনি অবিরাম নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। টেকনাফ থেকে তেতুঁলিয়া ফাউন্ডেশনের হাজার হাজার অবদানের চিহ্ন দেখা যায়। এছাড়া সাতকানিয়ায়-লোহাগাড়ায় এমন কোন এলাকা পাওয়া যাবে না যেখানে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের কোন প্রতিষ্ঠান বা অবদান নেই।
সকলের নিকট গ্রহনযোগ্যতা: এমপি নদভী যেমন রাস্তার পাশের দোকানে বসে সাধারন মানুষের সাথে মিশে চনাপেয়াজু খেতে পারেন তেমনি দেশ-বিদেশের শীর্ষ ব্যক্তিদের সাথেও আভিজাত্য নিয়ৈ চলতে পারেন। সহজে আপন করতে পারেন। প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতে পারেন। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগেডার নানা অনুষ্ঠানে তিনি সমাদৃত হন। যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানেও তিনি আদরণীয়।
মধ্যপ্রাচ্যের সাথে সেতুবন্ধন: নানা কারণে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে বাংলাদেশের সেতুটি সময়ে সময়ে নড়বড় হতো। তবে এখন তা যেন দৃঢ় ভিত্তির উপর রচিত। আর সকলে জানেন এর মূলে অন্যতম ভূমিকায় আছেন অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দীন নদভী। তিনি ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারা দেশে যেসব সামাজিক, মানবিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন তার অন্যতম অর্থদাতা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি। ফলে র্দীঘদিন ধরে এমপি নদভীর সাথে উক্ত দাতাদের বেশ আন্তরিক সম্পর্ক। এখন সেই সর্ম্পক আরো মজবুত হয়েছে বাংলাদেশের সাথেও। বাংলাদেশ আরো ভালোভাবে মূল্যায়িত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সার্বিক বিনিময় অনেকগুণে বেড়েছে।
নেপথ্যে একজন: প্রত্যেক সফল পুরুষের নেপথ্যে একজন নারী থাকেন। তেমন একজন নারী হলেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, এমপি পত্নী মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরী। যিনি দিনরাত সাতকানিয়া-লোহাগাড়াবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এমপি মহোদয় ঢাকায় থাকলেও তিনি এলাকার মানুষের পাশে থাকেন, ঘরে ঘরে, পাড়ায়-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে মানুষের খোঁজখবর নেন। নিয়মিত উঠান বৈঠক করেন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নিজেকে সদা সম্পৃক্ত রাখেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শান্তি ও উন্নয়নের বার্তা প্রচার করেন। জনমত গঠন করেন।
শান্তি ও উন্নয়নের রাজনীতির সপক্ষের জনমত ধরেও রাখেন। এমপি নিজের পাশে এমন পরিশ্রমী ও ডায়নামিক চিন্তা-চেতনার নারীকে পেয়ে আরো বেশি এগিয়ে থাকেন।
আসলে এভাবেই এমপি অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দীন নদভী অগ্রসর। শত মানুষের আশাও তাঁকে ঘিরে। জনসেবা করে পাওয়া লাখো মানুষের দোয়া তাঁর সঙ্গী। পরিকল্পিত উন্নয়নের গতিশীল চাবি তাঁর হাতে।
শান্তির পতাকাটি যেন তাঁর হাতেই সকলে দেখতে পান।
আলোকিত সাতকানিয়া/অালোকিত পাঠক ফোরাম/এইচএম