মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসন বিরোধী অভিযানে ১৭০ জনকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।
শুক্রবার কুয়ালালামপুরের প্রাণকেন্দ্র চায়না টাউন খ্যাত পেতালিং স্ট্রিটে এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন দেশটির ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলি।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার নবগঠিত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে ৩৩০ জনকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পর ১৭০ জনকে আটক রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়। মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের নিজস্ব ফেসবুক পেইজে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে ঠিক কতজন বাংলাদেশি তা জানানো হয়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চায়না টাউনে মূলত বাংলাদেশি শ্রমিকরাই বেশি কাজ করে। এ অভিযানে আটককৃতদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই বাংলাদেশি বলেও মন্তব্য করেন তারা।
অভিযান পরিচালনা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আটক অভিবাসীরা বিভিন্ন আইন ভঙ্গ করেছেন। যেমন- বৈধ নথি না থাকা, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা, সুনির্দিষ্ট কোম্পানির অধীনে কাজ না করাসহ অন্যান্য আরও অনেক কিছু।
দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে অবৈধ অভিবাসন সমস্যা মোকাবেলা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দেশটির ইমিগ্রেশনের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৬ হাজার ২০৪টি অভিযানে ৭৬ হাজার ২২৬ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৮ হাজার ৫২১ জনকে ভিসা না থাকা, নিজস্ব কোম্পানির অধীনে কাজ না করে অন্য জায়গায় কাজ করাসহ নানা অপরাধে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। তাদের সংখ্যা ৬ হাজার ৪৮৯ জন। বাংলাদেশি ৩ হাজার ৫৯৮ জন, ১ হাজার ৯৬৩ জন ফিলিপিনো, ১ হাজার ৮০৩ জন বার্মিজ ও বাকিরা অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া অবৈধ শ্রমিকদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে ৪৬৯ জন মালিককে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন অবৈধদের ৩+১ প্রক্রিয়ায় ইমিগ্রেশনে জরিমানা দিয়ে দেশে ফেরত যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। হাইকমিশনের নিজস্ব ফেসবুক পেইজে এ নিয়ে সতর্ক করে পোস্টও দেয়া হয়েছে।