মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী শাহ ছুফী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) প্রকাশ হযরত কেবলার ১১৩তম ওরশ শরীফ উপলক্ষে তার মাজার শরীফে গিলাপ চড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী শাহ ছুফী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.)’র রওজা শরীফে গিলাপ চড়ান গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন শাহ ছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) ও নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খান অ্যাগ্রো প্রোডাক্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দুল হক খান, মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন সৈয়দ সোহেল হাসনাত, কো-চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম চৌধুরী।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ওরশ। ওরশ উপলক্ষে পুরো মাইজভাণ্ডার এলাকাকে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশ থেকে আসতে শুরু করেছেন আশেকান-ভক্তরা।
গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন শাহ ছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় ভক্তরা মাজারের আশপাশে অস্থায়ী ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা মাজার জেয়ারত, বিশেষ মোনাজাত, জিকির, জিকিরে ছেমাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সময় পার করছেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ওমানসহ নানা দেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্ত অংশ এসেছেন ওরশ উপলক্ষে।
গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) ওরশ শরীফের সার্বিক বিষয় তত্ত্বাবধান করছেন।
ওরশের প্রধান দিবস বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২.০১ মিনিটে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিল শাহী ময়দানে ওরশ শরীফের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন শাহ ছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)।