হাসপাতালের ওয়েবসাইটে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর চিকিৎসার বিবরণে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, মহিউদ্দিন চৌধুরীর এনজিওগ্রাম সোমবার বিকেলে স¤পন্ন হয়। তিনি এই মুহূর্তে বড় ধরনের কোনো ঝুঁকির মধ্যে নেই। তাঁর চিকিৎসা স্বাভাবিক ও সফলভাবে হচ্ছে। এনজিওগ্রাম করতে সব মিলিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। এরপর তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালটির সিনিয়র কার্ডিওলজিস্ট ডা. তান চং হিয়কের তত্ত্বাবধানে চলছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর চিকিৎসা।
চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এনজিওগ্রাম শুরুর আগে হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কিডনি বিশেষজ্ঞ বাবার শরীরে ডায়ালাইসিসের সংযোগ স্থাপন করেন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাবার কিডনি ডায়ালাইসিস সুবিধা হবে। বাবা এখন ঝুঁকিমুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বাবার জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সবকিছু ঠিকঠাক চলায় তিনি আল্লাহর নিকট শোকরিয়া আদায় করেন।
প্রায় ৭৪ বছর বয়সী মহিউদ্দিন চৌধুরী হঠাৎ গত ১১ নভেম্বর শনিবার রাতে চরম অসুস্থতা বোধ করেন। এ সময় তাঁকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। পরদিন বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে গিয়ে তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে কিডনি ডায়ালাইসিসের পর একটু সুস্থ বোধ করলে চিকিৎসদের পরামর্শ অনুযায়ী ১৬ নভেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরের গ্ল্যানিগ্লেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।