ফ্যালকন হেভি রকেটটি যখন ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হচ্ছিল তখন শোনা যাচ্ছিল উচ্ছ্বসিত দর্শকদের হর্ষধ্বনি। একজন ব্যবসায়ীর খেয়ালি পরীক্ষা বা ঝুঁকিপূর্ণ উদ্যোগ বলে এই রকেট প্রকল্প নিয়ে নানারকম আশঙ্কা ছিল। কিন্তু রকেটটি সফলভাবেই ব্যাপক বেগের সঙ্গে আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে উড়ে গেছে। খবর বিবিসির।
ইলন মাস্কের স্পেস এক্স কোম্পানির পরীক্ষামূলক এই রকেটটি বর্তমান যেকোনো মডেলের থেকে দ্বিগুণ ভার বহন করতে সক্ষম। রকেটটি ৬৪ টন ওজনের বস্তু পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। যা লন্ডনের রাস্তায় চলা পাঁচটি দোতলা বাসের সমান।
তবে পরীক্ষামূলক এই মিশনে রকেটটিতে ইলন মাস্ক তুলে দিয়েছেন নিজের ব্যবহৃত একটি পুরনো স্পোর্টস কার। এর ভেতরে বসিয়ে দেয়া হয় একটি ম্যানিকিন। আর ভেতরে বাজছিল ডেভিড বাউয়ির গান।
কিন্তু এত জাঁকজমকের সঙ্গে যাত্রা শুরু করা রকেটটির এই মিশনের কোনো গন্তব্য নেই। তারপরও এটি নিয়ে উত্তেজনার কারণ হচ্ছে, মহাকাশযাত্রায় তা নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে রকেটটি শক্তিশালী হলেও এর খরচও কমিয়ে আনা হয়েছে, যা দ্বিতীয় শক্তিশালী রকেটের তিন ভাগের একভাগ।
অন্যদিকে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এই মিশনের উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা, এর ফলে ফ্যালকন হেভির মতো রকেটের মাধ্যমে ইলন মাস্কের কোম্পানি আরও বেশি সংখ্যায় এবং বড় আকারের স্যাটেলাইট মহাকাশে পৌঁছে দিতে পারবে।
তাই মহাকাশের নতুন প্রতিযোগিতায় এভাবেই এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে কোনো রাষ্ট্র নয় বরং ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানি।
আন্তর্জাতিক স্পেস সেন্টার ঘুরে আসা একজন নভোচারী কমান্ডার লিরয় চাও এই উৎক্ষেপণ দেখার পর তার অনুভূতি ব্যাখ্যা করে বলছিলেন তার কাছে দিনটি একটি মহাউত্তেজনার দিন।
ভবিষ্যতে মহাকাশে অনুসন্ধান ও গবেষণার কাজে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।