ভিক্ষায় গেলেন মা, ঘরে শেকলে বাঁধা প্রতিবন্ধী ছেলে জীবন্ত দগ্ধ

নগরীতে চান্দগাঁও এলাকায় টিনশেড একটি কলোনিতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে অন্তত তিন ডজন ঘর; ভেতরে শেকলবন্দি অবস্থায় জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে মানসিক প্রতিবন্ধী এক তর্বণ। গতকাল ১২ আগস্ট সকাল পৌনে ১১ টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি–বৱক সাত নম্বর সড়কের ওই বস্তিতে আগুন লাগে। বস্তির একটি ঘরে শেকল বেঁধে রাখা হয়েছিল রবিউল আলম (৩০) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে। সকালে ওই বস্তিতে আগুন লাগে। শেকলবন্দি থাকায় আগুন লাগার পর ওই ঘর ছেড়ে বেরোতে পারেননি রবিউল। আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল, তাকে উদ্ধারও করা যায়নি। আগুনে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে প্রাণ গেছে এই যুবকের।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জসিম উদ্দিন আজাদীকে জানান, অগ্নিকা–ের খবর পেয়ে বায়েজিদ, কালুরঘাট ও আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশন থেকে সাতটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে সাড়ে ১১ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বস্তির ৩৬টি কাঁচা ঘর পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, বস্তির একটি ঘরে রবিউল নামে মানসিক প্রতিবন্ধী এক যুবককে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে তার আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অগ্নিকা–র কারণ এবং ৰয়ৰতির পরিমাণ জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিহত ওই তর্বণের নাম মো. রবিউল, বয়স ত্রিশের ঘরে। মানসিক প্রতিবন্ধিতার কারণে রবিউল কোনো কাজ করতে পারতেন না। তার মা ফাতেমা সংসার চালাতেন ভিৰা করে। প্রতিদিনের মত আজ (গতকাল রোববার) সকালেও রবিউলকে ঘরে শেকলে বেঁধে ভিৰা করতে বেরিয়েছিলেন তার মা। এর মধ্যে আগুন লাগলে কলোনির সবাই বেরিয়ে যায়, কিন্তু রবিউল পারেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর শেকল কেটে রবিউলের পোড়া লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।