ভাষা, সংষ্কৃতি ও প্রাকৃতিক মিলবন্ধনের অপর নাম সাতকানিয়া।

উপজেলার ঐতিহ্য
সাতকানিয়ার ইতিহাসে রয়েছে ঐতিহ্য আর গৌরবে পরিপূর্ণ। ছোট ছোট পাহাড়, নদী, সমভুমি প্রকৃতির এ অপরূপ সৃষ্টি সাতকানিয়া নামক অঞ্চলটির জম্ম। ভুমির গঠন, রূপ নিদ্ধিধায় বলে দেয় সে পৌরনিক প্রাগৈতিহাসিককালে সাতকানিয়া নামক অঞ্চলটির জম্ম। এই এলাকার মানুষের প্রধান সাফল্য ব্যবসার দিক দিয়ে বাংলাদেশের যেকোন অঞ্চল থেকে এরা এগিয়ে। প্রতিবছর ১লা বৈশাখে মার্দাশা ইউনিয়নে মক্কাবাড়ী বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য অঞ্চল থেকে এই বলি খেলা দেখার জন্য জনসমাগম ঘটে। অতএব সাতকানিয়ার ইতিহাস অন্যান্য যে কোন উপজেলার থেকে সমৃদ্ধ এবং হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। প্রকৃতি এবং মানবীয় গুনাবলীর বর্তমান বিশেষনে বিশেষিত “রত্নগর্ভা সাতকানিয়া”। এছাড়া সাতকানিয়া উপজেলায় রয়েছে পুরনগড় শাহ শরফুদ্দীন (র:) এর মাজার, মির্জারখীল দরবারশরীফ।
ভাষা ও সংষ্কৃতি
সাতকানিয়া উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগোলিক অবস্থান এ উপজেলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠণে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের দক্ষিন-পূর্ব অঞ্চলে আবস্থিত এ উপজেলা। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতো নয়, কিছুটা বৈচিত্র খুঁজে পাওয়া যায়।যেমন কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণ ধ্বণী অনেকাংশে অনুপস্থিত, অরথাৎ ভাষা সহজিকরণের প্রবণতা রয়েছে। সাতকানিয়া উপজেলার আাঞ্চলিক ভাষার ছাথে সন্নিহিত নোয়খালি ভাষার অনেকটা সাজুয্য রয়েছে। সাঙ্গু নদীর গতি প্রকৃতি এবং বান্দরবান পাহাড়ের পাদদেশে বাতকানিয়া মানুষের আচার আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতি ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এই এলাকার ইতিহাস পর্ালোচনায় দেখা যায় যে, সাতকানিয়া সভ্যতা বহু প্রাচীন। কিছুপ্রত্নতাত্বিক নিদরশন-১। খ্রিষ্টীয় ১৫ শতাব্দিতে নিরমিত সাতকানিয়া ইউনিয়নের দরগাঁ মসজিদ, সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ডেপুটি মসজিদ২। সাতকানিয়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ঠাকুরদিঘী, সোনাকানিয়া ইউনিয়নের বারদোনার কোতোয়াল দিঘী, এওচিয়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক দেওদিঘীযেসব সংস্থা সাংস্কৃতিক বিষয়ে সাতকানিয়ায় কাজ করে সেগুলো হলো:১। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী২। সরকারী গণ গ্রন্থাগার ইত্যাদি