দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় ভারত বাংলাদেশ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৪৯.১ ওভারে ১৭৩ রানে টারগেট দেয় টাইগাররা। জবাবে ১৩.৪ ওভার বাকী থাকতেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মা অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন।
ভুবনেশ্বর কুমার আর জসপ্রিত বুমরাহরে শিকারের জালে বন্ধি হয়ে বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যর্থতা যেন প্রথম থেকেই ইঙ্গিত দিচ্ছিলো যে, আজ দিনটি শুভ নহে টাইগারদের দুজনেই ফিরলেন ব্যক্তিগত ৭ রান করে।
কিন্তু বাংলাদেশকে ছন্নছাড়া করে দেওয়ার আসল কাজটা করলেন রবীন্দ্র যাদেজা। ২০১৭ সালের জুলাইয়ের পর ওয়ানডে দলে ফিরে স্পিনের মায়াজ্বাল ছড়ালেন। টানা তুলে নিলেন সাকিব আল হাসান (১৭), মোহাম্মদ মিথুন (৯) ও মুশফিকুর রহীমকে (২১)। ৬৫ রান ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখনই ব্যাটফুটে। পরে তুলে নেন আরো এক উইকেট। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৯ রানে ৪ উইকেট তার।
মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ লড়ার চেস্টা করছিলেন। কিন্তু ২৫ রান করে মাহমুদউল্লাহকে ফিরতে হয় আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে। ভুবনেশ্বর কুমারের বল প্রথমে ব্যাটে লেগে তার প্যাডে আঘাত করলেও আম্পায়ার আঙুল তুলে নেন। ততক্ষণে রিভিউও শেষ বাংলাদেশের। পরের ওভরে কোনো রান যোগ না হতে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেনও। ১২ রান করেন তিনি।
তবে এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাশরাফি বিন মুর্তজার লড়াইয়ে দেড়’শ পেরোয় বাংলাদেশ। অস্টম উইকেটে দুজন ৬৬ রান যোগ করেন। মাশরাফি ৩২ বলে ২৬ রান করেন ২ ছক্কায়। মিরাজ ৫০ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪২ রান।
জবাব দিতে নেমে শিখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মার ব্যাটে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। ৬১ রান যোগ করেন এই দুজন। সাকিব আল হাসানের শিকার হয়ে ধাওয়ান ফিরেন ব্যক্তিগত ৪০ রান করে। অম্বতি রাইডু দ্রুত বিদায় নিলেও রোহিত-ধোনি জুটিতে জয়ের কাছে চলে যায় ভারত। ধোনি ৩৩ রান করে মাশরাফির শিকার হলেও দিনেশ কার্তিককে (১) নিয়ে বাকী কাজ সাড়েন রোহিত। শেষ পর্যন্ত ১০৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৮৩ রান করেন তিনি। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।