ভারতের আঘাতে লন্ডভন্ড পাকিস্তান শিবির

গত বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের পর এই প্রথম মুখোমুখি হল চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত পাকিস্থান।তবে শুরুটা মোটেই ভালোহয়নি পাকিস্থানের।টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্থানকে চেপে ধরেন ভুবনেশ্বর ও বুমরাহ। ভুবনেশ্বর ও বুমরাহে ঝরে লন্ডভন্ড হয়েযায় পকিস্থান শিবির এমনকি ইমাম–উল–হক ও ফখর জামানকে ch©šÍ জায়গা দেননি দুই ভারতীয় পেসার। স্টাম্প সোজা বলে রানের জন্য ছটফট করে দ্রুত ফিরেন দুই ওপেনার। পরপর দুই ওভারে ইমাম ও জামানকে বিদায় করেন ভুবনেশ্বর। বেরিয়ে এসে তাকে উড়ানোর চেষ্টায় কট বিহাইন্ড হন ইমাম। পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন জামান।
তৃতীয় উইকেটে ৮২ রান যোগ করেন বাবর আজম ও শোয়েব মালিক। কুলদীপের গুগলি বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বাবর বোল্ড হলে ভাঙে পাকিস্তানের প্রতিরোধ। ৬ চারে ৪৭ রান করেন বাবর। ২৬ রানে মহেন্দ্র সিং ধোনি, ৩৭ রানে ভুবনেশ্বর হাতে জীবন পাওয়া মালিক ফিরেন রান আউট হয়ে। একটি করে ছক্কা–চারে অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান করেন ৪৩ রান। দলের আর কেউ যেতে পারেননি ত্রিশ পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত ১৬২ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ১৩.১ ওভার স্থায়ী ৮৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা ভালো করে ভারত। পাকিস্তানের তিন মূল পেসার আমির, হাসান আলি ও উসমান খানকে সহজেই সামলান রোহিত–ধাওয়ান। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৩৯ বলে ৬ চার আর ৩ ছক্কায় ৫২ রান করা অধিনায়ককে ফিরিয়ে শুরুর জুটি ভাঙেন শাদাব খান। নিজের প্রথম বলেই উইকেট নেওয়া শাদাব চোট পেয়ে মাত্র ৯ বল করেই মাঠ ছাড়েন। তার অনুপস্থিতিতে শক্তি হারানো পাকিস্তান স্পিনেও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। আশরাফকে পয়েন্টের ফিল্ডার বরাবর কাট করে বিদায় নেন ধাওয়ান। ৫৪ বলে খেলা তার ৪৬ রানের ইনিংসে ৬ চারে পাশে একটি ছক্কা। অবিচ্ছিন্ন ৬০ রানের জুটিতে দলতে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রাইডু ও কার্তিক। দুই জনেই অপরাজিত থাকেন ৩১ রানে।শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রানের লক্ষ্য ১২৬ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় ভারত।