বড় পরিবর্তন আসছে যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসা কোটায়

আগামী অর্থবছরে নয়টি বড় পরিবর্তন আসছে যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসা কোটায়। তবে নয়টি বড় পরিবর্তন কী, তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। ইউএসসিআইএসের বরাত দিয়ে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র নাগরিকত্ব ও অভিবাসনসেবা (ইউএসসিআইএস) ২০১৯ সালের অর্থবছরের জন্য কংগ্রেস অনুমোদিত সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার এইচ-১বি ভিসার জন্য অসংখ্য আবেদন পেয়েছে। এ জন্য চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু হবে।

এ বছর এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি জটিল প্রক্রিয়া মোকাবেলা করবেন।

ইউএসসিআইএস ঘোষণা করেছে, এইচ-১বি ভিসার জন্য একাধিক আবেদন করা হয়েছে—এমন সব দরখাস্ত বাতিল করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এক নতুন নীতি স্মারকে জানায়, কোনো ব্যক্তির পক্ষে ‘সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের’ করা একাধিক আবেদন বা অনুমোদিত ভিসা বাতিল বা আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। স্মারকে আরও বলা হয়, এ ধরনের আবেদন লটারির বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ করে।

এটি শুধু এইচ-১বি ভিসাধারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই নিয়ম যুক্তরাষ্ট্রের সব অভিবাসী ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। বাছাই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সব ভিসা আবেদনকারীকে তাদের পুরনো ফোন নম্বর, ই-মেইল নম্বর এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিহাস লিপিবদ্ধ করতে হবে। সব আবেদনকারীকে আগের পাঁচ বছরে তাদের ব্যবহার করা ফোন ও মোবাইল নম্বর জানাতে হবে।

এইচ-১বি ভিসা শুধু সুনির্দিষ্ট কাজের মেয়াদের জন্য মঞ্জুর করা হবে। বর্তমানে এই ভিসা তিন বছরের জন্য কার্যকর থাকে এবং প্রায় সব সময়েই আরও তিন বছরের জন্য বাড়ানো হয়।

উল্লেখ্য, এইচ-১বি ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য আপনাকে যে বিষয়ের উপর কাজ চাইছেন সেই নির্দিষ্ট বিষয়ে ব্যচেলার’স বা তার থেকে উচ্চ ডিগ্রি থাকতে হবে। ইউএসসিআইএস এটি নির্ধারণ করবেন যে আপনার নিয়োগ কোনো বিশেষ ও নির্দিষ্ট কাজের জন্য হয়েছে কিনা এবং এই কাজটি করার জন্য আপনি যোগ্য কিনা।

আপনার নিয়োগের শর্তাবলী ও চুক্তি চূড়ান্ত করতে আপনার নিয়োগকারী সংস্থাকে ডিপার্টমেন্ট অফ লেবার-এ একটি লেবার কনডিশন দরখাস্ত ফাইল করতে হবে।