নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বেড়েই চলছে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে অবৈধ তারের জঞ্জাল। ক্যাবল অপারেটর (ডিস), ইন্টারনেট ও টিএন্ডটি ক্যাবলের কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এসব ক্যাবলের কারণে নগরীতে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটেলেও, এসব জঞ্জাল সরানোর জন্য কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। নগরীর টেরিবাজার এলাকায় কয়েকজন ক্রেতা বলেন, টেরিবাজারের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ঝুঁকিপুর্ণভাবে তার ঝুলে আছে। এসব তারের কারণে যে কোনো সময় এখানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। হাঁটার সময় এসব তার মানুষের গায়ে লাগে। তারপরও কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
এসম্পর্কে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন বলেন, ‘নগরীতে বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটিতে যে তারের জঞ্জাল রয়েছে । ৯ম পৃষ্ঠার ৩য় ক.
এর জন্য প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন ক্যাবল অপারেটর তাদের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে তাদের তার বা ক্যাবল লাগানোর সময় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কোনো অনুমতি নেয় না। তারা নিজেদের ইচ্ছেমত এসব তার বসিয়ে বসিয়ে চলে যায়। আমাদের জানানোর প্রয়োজন মনেও করে না।’
এ সম্পর্কে টেরিবাজার ব্যবসায় সমিতির সভাপতি মো. আমিনুল হক বলেন, বিভিন্ন ক্যাবল অপারেটরসহ ইন্টারনেট ও টিএন্ডটি ক্যাবলে পুরো টেরিবাজার এলাকা ছেয়ে গেছে। এই ক্যাবলের কারণে অনেকবার টেরিবাজার এলাকায় দুর্ঘটনাও ঘটেছে। আমরা ক্যাবল অপারেটরকে (ডিস) জানিয়েছি। তারা তাদের ক্যাবল এখান থেকে সরিয়ে নিবে বলেছে কিন্তু এসব সরানোর জন্য এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
আমিনুল হক আরো বলেন, গত মাস তিনেক আগেও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে একবার আগুন লেগেছে। এরপর বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে বিভিন্ন ক্যাবল সরিয়ে নেয়ার জন্য টেরিবাজার ব্যবসায় সমিতি থেকে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এখনো কোন ফল পাইনি। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে অসংখ্য তার বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে। নগরীর টেরিবাজার, আন্দরকিল্লা, চেরাগি পাহাড় মোড়, চকবাজার, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, ২ নম্বর গেট, জামালখান, রেয়াজুদ্দিন বাজার, নিউমার্কেট, আগ্রাবাদসহ অনেক জায়গায় বিপজ্জনক তার রয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি, সড়কে বাতির খুঁটি, ভবন, মার্কেট, দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে দিয়ে এলোমেলোভাবে গেছে বিভিন্ন তার। নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি সর্বত্র আছে তারের জঞ্জাল। কোথাও পথচারীর মাথা স্পর্শ করে এসব তার। আবার কোথাও লুটিয়ে পড়ে থাকে রাস্তায়।
এ সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মাকড়শার জালের মত বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলি তারের জঞ্জালে চেয়ে গেছে। একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে যে পরিমাণ তার থাকতে পারবে, আমাদের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে তার চেয়ে তিন থেকে চার গুণ বেশি তার রয়েছে। তারগুলোর কাভারও থাকে না। যার ফলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। বর্ষাকালে এ দুর্ঘটনা আরো বাড়তে পারে।