বিদ্যুতের পর এবার চট্টগ্রামে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার চালু

বিদ্যুতের পর গ্যাসের অপচয় রোধ ও গ্রাহকের খরচ কমাতে আজ থেকে চট্টগ্রামে প্রিপেইড মিটার চালু করেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (কেজিডিসিএল)।

প্রাথমিক ভাবে নগরীর আটটি এলাকার ২০ হাজার পাঁচশত গ্রাহক এ সেবা পাচ্ছেন।

বুধবার (২৮ ফেব্রয়ারী) নগরীর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির একটি বাড়িতে এক কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোদন করেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ‘ন্যাচারাল গ্যাস ইফিসিয়েন্সি প্রজেক্ট’র প্রকল্প পরিচালক মো. সরওয়ার হোসেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেজিডিসিএলের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. নাহিদ আলম, কেজিডিসিএলের কর্মকর্তা খন্দকার মতিউর রহমান, প্রকল্প পরামর্শক হোসেন আহমদ, প্রিপেইড মিটারের ভোক্তা এসএজি ফরিদ ও নাসরিন সুলতানা।

উদ্ভোদনী অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক মো. সরওয়ার হোসেন বলেন, ‘নতুন এ পদ্ধতি চালু হলে গ্রাহক প্রতি চুলায় বর্তমানের চেয়ে গ্যাস কম খরচ করে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন। এতে গ্যাস চুরি কমার পাশাপাশি গ্রাহকের ভোগান্তিও কমবে। প্রিপেইড মিটারিং ব্যবস্থায় গ্যাস বিল বকেয়া রাখার কিংবা অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কোনো সুযোগ থাকবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘নগরীর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি, ওআরনিজাম রোড, খুলশি, চকবাজার, কাজীর দেউড়ি, মেহেদিবাগ, হালিশহর হাউজিং স্টেট হিলভিউ আবাসিক এলাকা, মেহেদীবাগ, সুগন্ধা ও পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় মোট ২০ হাজার পাঁচশত গ্রাহক এ সেবা পাচ্ছেন। চট্টগ্রামের ১০ জোনের ৬০ হাজার গ্রাহককে এ প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে।’

উপ-প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. নাহিদ আলম বলেন, ‘গ্যাসের অপচয় রোধ ও চুরি বন্ধ করতে সরকারের নেওয়া ‘ন্যাচারাল গ্যাস ইফিসিয়েন্সি প্রজেক্ট’ গ্রপহকদের কাছে বেশ সাড়া ফেলেছে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। এর মধ্যে প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হবে।’

কেজিডিসিএল সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৫৪ কোটি ১১ লাখ টাকা দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। সরকার দিচ্ছে ৮১ কোটি ৪৫ লাখ এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি দিচ্ছে ১০ কোটি ৯১ লাখ টাকা।