বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদের দ্বি বার্ষিক সাধারণ সভা সম্প্রতি ( ১১ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগরীর ধনিয়ালা পাড়াস্থ কেন্দ্রীয় বায়তুশ মসজিদে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে অনুষ্ঠিত হয়। আনজুমনের সহ সভাপতি, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি প্রফেসর ড. আহসান সাইয়েদ এর সভাপতিত্বে দ্বি বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সভাপতি, বায়তুশ শরফের সম্মানিত পীর সাহেব আল্লামা আবদুল হাই নদভী (ম.জি.আ)। বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন আনজুমনের সহ সভাপতি, জসাবেক পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইদ্রিছ মিয়া। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ডিডি শহীদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ ড. আল্লামা আবু নোমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক ডাইরেক্টর আবুল হায়াত মোহাম্মদ তারেক, মারচা গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোর্তুজা ছিদ্দিক, মাওলানা ছালাহুদ্দিন মোহাম্মদ বেলাল প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচিলনা করেন মাসিক দ্বীন-দুনিয়া সম্পাদক মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ। উপস্থিতি ছিলেন আনজুমনে ইত্তেহাদের কেন্দ্রীয় ও শাখা কমিটি এবং মজলিসুল উলামার প্রতিনিধিবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বলেন, বায়তুশ শরফের প্রাণ-প্রতিষ্ঠাতা কুতুবুল আলম, হযরত শাহ মাওলানা মীর মোহাম্মদ আখতর (রাহঃ) ১৯৫২ সালে আনজুমনে ইত্তেহাদ নামক যে অরাজনৈতিক, মানবসেবামূলক, তরিকতভিত্তিক আধ্যাত্মিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাঁর উত্তরাধিকারীদের অসাধারণ প্রজ্ঞা, অতুলনীয় কর্মশক্তি, ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা ও চারিত্রিক মাধুর্যতা ও যোগ্য পরিচালনায় আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় ও সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯৭১ সালে হজ্বের উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কা ভূমিতে হযরত মীর আখতর (রাহঃ) ওফাতপ্রাপ্ত হলে তাঁর অছিয়ত মোতাবেক আল্লামা শাহ মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (রাহঃ) বায়তুশ শরফের হাল ধরেন। তিনি ছিলেন সমকালীন যুগের শ্রেষ্ঠ আলেমেদ্বীন, পীর-এ কামেল, মসজিদ ভিত্তিক সমাজসেবার অন্যতম পুরোধা, শিরক-বিদআত-এর বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। ইসলামী ব্যাংক, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। একজন সফল লেখক, গবেষক ও অনুবাদক হিসেবে তিনি ছোট বড় ২১ টি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। ১৯৯৮ সালে ২৬ মার্চ আল্লামা শাহ আবদুল জব্বার (রাহঃ) এর ইন্তেকালের পর তাঁর দীর্ঘদিনের ছায়াসাথী বাহরুল উলুম আল্লামা শাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (রাহঃ) বায়তুশ শরফের হাল ধরেন। অগাধ জ্ঞান ও পান্ডিত্যের অধিকারী আল্লামা শাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (রাহঃ) গত ২০ মে ইন্তেকাল করলে আল্লামা মোহাম্মদ আবদুল হাই নদভী এলমি-আমলি, চারিত্রিক গুণাবলী ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতার বিচারে বায়তুশ শরফ দরবারের হাল ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান পীর আল্লামা আব্দুল হাই নদভীর সুযোগ্য পরিচালায় তরিকতভিত্তিক আধ্যাত্মিক ও মানবসেবামূলক এই প্রতিষ্ঠানটি সম্মুখপানে এগিয়ে যাবে।