বাঙালির উৎসব বর্ষবরণ শুরু,ডিসি হিলে মানুষের ঢল

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে সূর্যোদয়ের সময় শ্রুতিঅঙ্গনের ভৈরবী রাগে ধ্রুপদ পরিবেশনায় ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসব সবার যোগে জয়যুক্ত হোক’ স্লোগানে শুরু হয় ৪১তম বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। চিরায়ত বাংলা গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক, কথামালায় বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হচ্ছে নগরের ডিসি হিলে।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢল নামে মানুষের। নানা বয়সী মানুষ বর্ণিল পাঞ্জাবি, শাড়ি, ফতুয়া, ত্রিপিস পরে ছুটে আসেন চট্টগ্রামের আদি বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে। আগের দিন রাতে নববর্ষের আল্পনায় রাঙানো হয়েছে ডিসি হিলের সামনের সড়কটি।

এবার নগর পুলিশের উদ্যোগে ডিসি হিলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আসা দর্শকদের দেওয়া হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও হাতপাখা। বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে গ্ল্যাক্সোজডি শরবত। বৈশাখী মেলায় রয়েছে শিশুদের জন্য নাগরদোলা।

রাগ সঙ্গীতে নববর্ষ আবাহনের পর শুরু হয় দলীয় পরিবেশনা। প্রথম অধিবেশনের তালিকায় আছে সংগীত ভবন, রক্তকরবী, জয়ন্তী, ছন্দানন্দ, গুরুকুল, সুর-সাধনা, সৃজামি, গীতধ্বনি, রাগেশ্রী, বংশী, খেলাঘর, প্রীতিলতা ও সপ্তডিঙা শিল্পাঙ্গন।

নৃত্য পরিবেশন করছে নটরাজ নৃত্যাঙ্গ, ওড়িশি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স, গুরুকুল, ঘুঙুর, সঞ্চারী, চারুতা, দি স্কুল অব ক্লাসিক্যাল অ্যান্ড ফোক ডান্স, নৃত্য নিকেতন ও কৃত্তিকা নৃত্যালয়।

আবৃত্তি পরিবেশন করছে বোধন, প্রমা, উচ্চারক, নরেন ও শৈশবের আবৃত্তি দল।

বেলা ২টা থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় অধিবেশন। এবার দৃষ্টিনন্দন বাঙালিয়ানায় মঞ্চ ডিজাইন করেছেন রেজাউল করিম রেজা।

নাট্যজন ও সংগঠক আহমেদ ইকবাল হায়দার জানান, ডিসি হিলে এবার ৪১তম বর্ষবিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান হচ্ছে। আমরা এখন থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে এগোনোর পরিকল্পনা করছি। সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রামের ব্যানারে বছরজুড়ে প্রশিক্ষণসহ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে চাই।

নগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান জানান, ডিসি হিল ও সিআরবি মিলে ৫ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের ভেন্যুগুলোতে। আগত দর্শক-শ্রোতাদের নিরাপত্তার জন্য প্রবেশমুখে তল্লাশি ও আর্চওয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।