বাঁশখালী জলদী মখজনুল উলুম বাইঙ্গাপাড়া মাদরাসায় আল্লামা শফী

হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফী বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী বাঁশখালী জলদী মখজনুল উলুম বাইঙ্গাপাড়া মাদরাসা দীর্ঘদিন থেকে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত। এই মাদরাসার সকল দায়িত্ব এখন আমার। আমি মোহতামিমের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। এলাকাবাসীদের উদ্যোশে তিনি বলেন, আপনারা এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহযোগীতা ও পরামর্শ প্রদান করবেন। যে বা যারা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে তাদের বিচার আমি করার অধিকার রাখি কিন্তু আমি করবো না। কেয়ামতের দিন এর বিচার আমি আল্লাহকে দিব। কারো ব্যাক্তিগত স্বার্থের জন্য একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান কিছুতেই ধ্বংস হতে পারে না। গতকাল সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় আল জমিয়া আল ইসলামিয়া জলদী মাখজুনুল উলুম মাদরাসায় আসেন আল্লামা শফি। পরে মাদরাসা কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় তিনি উপস্থিত ওলামায়ে কেরাম ও এলাকাবাসীদের উদ্যোশে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। স্থানীয়রা জানায়, বাঁশখালীর এই মাদরসাটি ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ কয়েক যুগ থেকে সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু মাদরাসার মুহতামিম মাও. আবদুস সোবহানের মৃত্যুর পর থেকে এখানে নানা অনিয়ম দেখা দেয়। এতে করে অনেকটা ঝিমিয়ে পড়ে মাদ্রাসাটি। প্রচুর জায়গা জমি ও অর্থ সম্পদ থাকার পরও করুন অবস্থার কারণে মাদ্রাসাটি পুনঃজাগরণের জন্য স্থানীয় জনগণ নতুন পরিচালক নিয়োগের দাবি তুলেন। এরই প্রেক্ষিতে বাঁশখালীসস্থ কাওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল মোহতামিমগণ বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) এর চেয়ারম্যান ও হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফির শরণাপন্ন হন। বায়তুল ইরফান আদর্শ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কাজী মুহাম্মদ মনছুরুল হকের সার্বিক পরিচালনায় এসময় মজলিশে শুরার সদস্যবৃন্দসহ উপস্থিত ছিলেন চাম্বল দারুল উলুম আইনুল ইসলাম মাদরাসার পরিচালক পীরে কামেল আল্লামা শাহ আব্দুল জলিল, পুকুরিয়া মাদরাসার পরিচালক আল্লামা হাফেজ নুর আহমদ, আল্লামা জাহেদ উল্লাহ বিন শেখ ইউনুস, মাও. ইসহাক নুর, মাও. আব্দুল জাব্বার, মাও. নুর মুহাম্মদ, মাও. আনাছ মাদানী, মাও. আবু তৈয়ুব কাছেমী, কারী মুবিন, মাও. হাসান আহমদ, মাও. ছাবের আহমদ, মাও. মাহবুবুর রহমান, মাও. শফিকুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান, মুহাম্মদ শফী, মুহাম্মদ ইসমাঈল, মুঈনুদ্দীন রুহী, মাও. নছিম প্রমুখ।