বাঁশখালীর লবণের জমিতে ব্রাউশ ধানের বাম্পার ফলন

অতি বৃষ্টির ফলে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বাঁশখালী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে লবণ উৎপাদনশেষে
লবণ সহিষ্ণু এলাকায় ব্রি-ধান ৪৭ ও ব্রি-ধান ৩৯, জাতের ধান রোপণ করে কৃষকরা। আউশ ও আমনের মাঝামাঝি সময়ে গত ৩ বছর ধরে বাঁশখালীতে এ ধান উৎপাদন হচ্ছে। কৃষক পরিবারগুলোতে নতুন জাতের এ ধান কাটা শুরু হওয়ায় খুশির আমেজ বইছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলায় ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে জুন মাস থেকে ৬৫০ হেক্টর জমিতে ব্রাউশ ধান চারা রোপণ শুরু হয়। উপকূলীয় ইউনিয়ন গন্ডামারা, ছনুয়া, শেখেরখীল, সরল ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি কৃষকরা ব্রি-ধান৪৭ ও ব্রি-ধান ৩৯ ধান রোপণ করে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়নেও এ ধান চাষাবাদ করে থাকে কৃষকরা। প্রতিবছর মার্চ ও এপ্রিল মাসে আউশ ধান রোপণ ও জুলাই, আগস্ট মাসে আমন ধান চাষাবাদ শুরু করলেও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সবজি মৌসুমে জুন মাসেই দুই জাতের ধান রোপণ করে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছে। গত তিন বছর থেকেই লবণ চাষাবাদকৃত জমিতে বাঁশখালী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ব্রাউশ এই ধানের চারা রোপণ করে চাষীরা অধিক ফলন উৎপাদন করছে। ছনুয়া ইউনিয়নের কৃষক ফরিদ আহমদ জানায়, বৃষ্টির কারণে অসময়ে লবণ মৌসুমের পর কৃষকরা ধান চারা রোপণে উৎসাহী হয়ে পড়েছে। নতুন জাতের ব্রি-ধান ৪৭ রোপণ করার সুযোগ পেয়ে সার, বিষ প্রয়োগ করে ব্রাউশ ধান ফলাচ্ছে। প্রতি কানি জমিতে ১১০/১২০ আড়ি ধান ফলন হচ্ছে। একই ভাবে পাশ্ববর্তী শেখেরখীল সরল, কাথারিয়া ইউনিয়নে ব্রাউশ ফলন রোপণ করছেন। বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আউশ আমনের মাঝামাঝি সময়ে কৃষকরা লবণ সহিঞ্চু জমিতে ব্রাউশ ধান রোপণ করে থাকে। অসময়ে এ ধান উৎপন্ন হয়ে থাকে। আবহাওয়া পবির্তনের কারণে জুন মাসে কৃষকরা নতুন ভাবে উদ্ভাবিত ব্রাউশ ধান রোপণ করে। বাঁশখালীতে আউশ ও আমন ফলন বেশি হয়ে থাকে। অসময়ে কৃষকরা নতুন ভাবে ব্রি ধান-৪৭ ও ব্রি ধান- ৩৯ রোপণ করে ব্যাপক হারে সফলতা পাচ্ছে। লবণ সহিঞ্চু জমিতে এ জাতের ধান ফলন ভালো হওয়ায় কৃষিবিদরা ব্রাউশ ধান হিসাবে নামকরণ করছেন। এখন বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকার জমিতেও পরীক্ষামূলক ভাবে কৃষকরা ব্রাউশ ধান রোপণ করে সফলতা পাচ্ছে।