গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার সদরের ৩নং ওয়াডের উত্তর জলদী নেয়াজর পাড়া এলাকায় শাহ্ আলম (৩৫) নামে এক পান দোকানির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টায় শাহ্ আলম (৩৫) নামের ওই ব্যক্তির লাশ গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। এদিকে নিহত শাহ্ আলম (৩৫)পরিবার এ ঘটনায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ করেছে। এরপর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শাশুড়ি জুলি আরা বেগম ও স্ত্রী তাছমিন আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত শাহ্ আলম গত কয় বছর আগে বাহারছড়ার ছাপাছড়ি এলাকার তাছমিন আক্তারকে বিবাহ করে। তাদের ঘরে এক পুত্র মো. তামিম (৬) ও এক কন্যা মীম (২) রয়েছে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হলে তা সমাধান করার জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার বাড়িতে আসে। তারা তাকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার গায়ে বিভিন্ন স্থানে রক্তের চিহ্ন রয়েছে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর জমশেদ আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন নিহতের গোপনাঙ্গ থেতলানো অবস্থায় এবং রাতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার বাড়িতে আসে বলে জানান।
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার দুটি স্পট নিয়ে তদন্ত করছি। এক নিহতের নিজের বাড়ি অপরটি শ্বশুর বাড়ি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তবে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের পক্ষে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।