বাঁশখালীতে ইপসা’র পুনর্বাসন প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা।

বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের দিশারী মিলনায়তনে গত সোমবার সমাজ উন্নয়ন সংগঠন ইপসা’র উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়ন বিষয়ক পরামর্শক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইপসার পরিচালক (অর্থ) পলাশ চৌধুরী। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইপসার উপ-পরিচালক মোঃ শাহজাহান। অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইপসার কর্মকর্তা মোরশেদ মোল্লা।

ইপসার বাঁশখালীর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক কল্যাণ বড়ুয়া’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, ইপসা বাঁশখালীতে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় পরিবর্তী ২৪শ পরিবারকে গৃহনির্মাণ সামগ্রী এবং ৪৭টি টি-সেল্টার নির্মাণ করে দিয়েছে।
পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর পর বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় ১৩৭টি টি-শেল্টার (বাড়ি) নির্মাণ করেন। বর্তমানে জাতিসংঘের চতুর্থ মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। যার ফলে ২০৫০ সালে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। ইতিমধ্যে ২৬টি জেলাকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থানচ্যুত সমস্যার উৎস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের মধ্যে বাঁশখালী হচ্ছে একটি দুর্যোগ প্রবণ উপকূলীয় এলাকা। এখানে প্রতিটি দুর্যোগে মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও গৃহহারা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থানচ্যুত মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
এতে অতিথি ছিলেন বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছিন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাকেরা শরীফ, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, ইপসা কর্মসুচি কর্মকর্তা তাসনীমা মতিন, গন্ডামারা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আলী হায়দার চৌধুরী আসিফ, খানখানাবাদের ইউপি সদস্য মোঃ ইউনুছসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা।